আজ খবর ডেস্ক- বাংলাদেশের বুকে ক্রমেই আত্মহত্যা বেড়ে চলেছে। এবার তা নিয়ে সোচ্চার হলেন সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী তসলিমা নাসরিন। এদিন সমাজ মাধ্যমে নিজেই একটি পোস্ট করেন সকলের উদ্দেশ্যে।

‘বিতর্কিত’ এই লেখিকা সরাসরি সমাজের সামনে একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। চলতি সময়ে লাগাতার বেড়ে চলা আত্মহত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে। ফেসবুক পোস্টে একাধিক সমীক্ষার ছবিও তুলে ধরেছেন এই লেখিকা। তাঁর দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশে গত জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসের মধ্যে মোট ৭ হাজার ৭১৩ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে গিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ সুইসাইড করেছেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে। ২৬ শতাংশ আত্মহত্যা করেছেন বিষ খেয়ে। এমনই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যাণ তুলে দিলেন এই লেখিকা।

‘লজ্জা’, ‘নির্বাচিত কলাম’, ‘দ্বিখণ্ডিত’র লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বক্তব্যে স্পষ্ট, কোনওরকম আত্মহত্যা বা তাতে প্ররোচনা দেওয়াই দুঃখজনক। তবে অতি সাধারণ এবং তুচ্ছ কারণে মানুষ আত্মহত্যা করছেন সেই বিষয়টিকে মেনে নেওয়া যায় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন মোবাইল না কিনে দিলে আত্মহত্যা করছে ছেলে মেয়েরা। অন্যদিকে, ফোন বন্ধ করতে বলা বা অভিভাবকের তরফে বকা বা ধমক দেওয়াকে হাতিয়ার করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে এই প্রজন্ম প্রজন্ম। একদিকে দুঃখজনক এবং অন্যদিকে বোকামির পরিচয় দিচ্ছে সমাজ, মনে করেন তসলিমা।

তাসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট

হাসিনা সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন গ্রামেগঞ্জে, শহরে যেমন কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছেন শারীরিক রোগ বিশেষজ্ঞ, ঠিক তেমনই আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে মনোবিদ এবং মনোরোগ চিকিৎসকদের। সরকারের তরফে যদি এমন ধরনের উদ্যোগ এখনই না নেওয়া হয় সেই ক্ষেত্রে পরিণাম আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তিনি। যদিও এই পোষ্টের পরে সরকারের তরফে বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং আগামীকাল কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই। নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, তসলিমা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রসঙ্গ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। যদিও, বাংলাদেশে জন্ম হলেও সেই দেশে এখনও প্রবেশ নিষেধ এই সাহিত্যিকের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *