বেড়িয়ে পড়ুন মন কেমনের পথে। দেশ পেরিয়ে, সাত সমুদ্র তেরো নদী, তেপান্তরের সীমানা পেরিয়ে হয়ে যাক অ্যাডভেঞ্চার। যেই অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে হারিয়ে গেছিল “আরণ্যক” এর শঙ্কর, আমাজনের গভীর জঙ্গলে। যে অ্যাডভেঞ্চারের রহস্য সারাক্ষণ হাতছানি দেয় সুদূরের পথে। কিন্তু সাড়া দিতে পারি না আমরা। সেই ঠিকানায় এবার বেড়িয়ে পড়তেই পারেন। ঠিক যেমন বেড়িয়ে পড়েছেন প্রবাসী এই বাঙালি তনয়।
বিবেকব্রত বসু কলকাতার ছেলে। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রাক্তনী, ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন আইআইটি খড়গপুর থেকে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, নেশা ভ্রমণ। সেই টানেই চলে গেছিলেন নিউ মেক্সিকো। উত্তর আমেরিকার সেই travel diary এক্সক্লুসিভ aajkhobor.com এর পাতায়।
কয়েকটা না জানা জায়গা আর তাদের না জানা নাম, চলুন ঘুরে আসা যাক।
উত্তর আমেরিকার তাওস শহর। সেখানে ভেসে চলা ভোরের কুয়াশা, স্বাভাবিক ভাবেই মন মাতায়। এরপরই অনেকের কাছে যা স্বর্গ সুখ। ছবির মত সাজানো ছোট্ট শহর। সাঙরে ডি ক্রিস্তো পাহাড়ে ঘেরা পিকচার পোস্টকার্ড যেন। তাওস আর্ট মিউজিয়াম এবং হারউড মিউজিয়াম।
রিও গ্র্যান্ড নদীর পাশে অবস্থিত ক্লাসিক্যাল গ্যাস মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামে কী পেতে পারেন? একটু অন্যরকম হলেও পাম্প বা রিফুয়েল ষ্টেশনের খুঁটিনাটি। পুরনো গ্যাস পাম্প, তেলের ক্যান বা পাত্র। অন্যদিকে গ্যাস পাম্প গ্লোব, গ্যাস ষ্টেশনের বোর্ড। তাওস যাওয়ার পথে এই সংগ্রহশালা দেখে নেওয়া যায়।
আমেরিকার পঞ্চম উঁচু সেতুর দিকে তাকালে হয়ত হলিউডি ছবিতে দেখা অনেক কিছুর কথা মনে পড়বে। প্রায় ৪০০ মিটার লম্বা এই সেতু যোগ করছে পূর্ব পশ্চিম দুই দিক। ১৯৬৫ সালে তৈরি এই সেতু। ভোরের হাল্কা কুয়াশায়, সূর্যের আলো পিছলে পড়া বরফের মাঝে সে এক অন্য রকমের সৌন্দর্য।
অসংখ্য ক্যাথলিক গির্জায় সমৃদ্ধ উত্তর আমেরিকা। এক একজনের এক এক ইতিহাস দিয়ে মোড়া। আওয়ার লেডি অফ গুয়াডালুপে, সেন্ট ফ্রান্সিস ক্যাথিড্রাল অফ ব্যাসিলিকা, সেন্ট অ্যান্টনিস ক্যাথলিক গির্জা বা পশ্চিম প্রান্তে সান আন্টোনিও গির্জা শান্তির বার্তা দেয়। সৌন্দর্যের রকমফের এখানে পর্যটককে আপ্লুত করবেই। সব থেকে পুরনো গির্জা সান মিগুয়েল মিশন যা তৈরি করা হয়েছিল ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে। ক্যানিয়ন রোড। পার্ক থেকে শুরু করে উঁচু বেলাভূমির ওপরে খাড়া হয়ে উঠে গেছে পাথরের অবয়ব। স্বভাবতই অন্য মাত্রা এনে দেয় এই দৃশ্য।
টিঙ্কেরটাউন মিউজিয়াম। পাশাপাশি স্যান্ডিয়া পার্ক এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। প্রথমে যা ভৌতিক আখ্যা পেলেও পরে মিউজিয়ামে পরিবর্তিত হয়েছে।
উত্তর আমেরিকার হস্তশিল্প দিয়ে ঠাসা আল্বুকুইকিউ শহর। বিশেষত স্প্যানিশ কলোনি। অন্যদিকে বেলুন ফিয়েস্তায় উড়তে দেখবেন আকাশ সমান বেলুন। সফর করতেই পারেন আকাশ সমান এই বেলুনে। সন্ধ্যার দুবন্ত সূর্য দেখার এর চেয়ে ভাল অভিজ্ঞতা হয়ত আর হবে না।
সান্তা ফে শহরের কথা না বললে খালি থেকে যাবে এই সফর। ১৬১০ সালে তৈরি এই শহর পরিপূর্ণ প্রাচীন শহরের
ধ্বংসাবশেষ দিয়ে। উঁচু মিনার, পাহাড়ের ঘেরাটোপে। সঙ্গে অনবদ্য জিভে জল আনা খাবারের রকমারি। রূপকথার দেশ হতেই পারে ভারতীয়দের জন্য। সময় পেলে ঘুরে আসা যায় কি এই ছবির শহর থেকে?