আজ খবর ডেস্ক- পুজো শেষ হতেই কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া দপ্তর। জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ কাটলেই শহরবাসী উপভোগ করবে প্রাক শীতের আমেজ।
বর্ষা বিদায় নিলেও পুজোর আগে থেকেই কম বেশি বৃষ্টি চলছে রাজ্যজুড়ে। আজও সেই ধারা বজায় রয়েছে। গত রবিবার থেকে বৃষ্টির মাত্রা বাড়াতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গেও। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে উপকূলের জেলাগুলিতেও।
তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে বৃষ্টিপাত থামার কোনো সম্ভাবনা নেই। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এবার জলে ভাসবে লক্ষী পূজো। অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার- সহ উত্তরের পাঁচ জেলায়। ২০০ মিলিমিটার এর বেশিও বৃষ্টিপাত হতে পারে জেলাগুলিতে৷ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আগামীকালের পর থেকেই কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকবে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্কার হতে থাকবে শহরের আকাশ।
উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাগুলিতে ঝিরঝিরে বা মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে গোটা সপ্তাহ জুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে ২১ শে অক্টোবর থেকে মেঘ কেটে রোদের দেখা মিলতে পারে। অক্টোবরের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা নামতে থাকবে। সর্বাধিক ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। একই ঘটনা ঘটবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাগুলি বাদে বাকি সমস্ত জেলায়।
তাই ২২ শে অক্টোবরের পর থেকেই প্রাক শীতের আমেজ পেতে চলেছে তিলোত্তমা। তবে বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ সুজীব কর aajkhobor.com কে জানিয়েছেন, আপাতত বৃষ্টি থেকে মুক্তি পেলেও একের পর এক নিম্নচাপের জেরে শীতের মরশুমেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত দেখা যেতে পারে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল গুলিতে প্রাক শীত পর্ব শুরু হতে এখনও কিছুটা দেরি আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রা সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৯৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪১.৭ মিলিমিটার৷
সুতরাং আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা তার পরেই চলে আসবে কলকাতাবাসীর রোদে কম্বল শোকাতে দেওয়ার দিন।