আজ খবর ডেস্ক;
SFI অতিমারীর করাল থাবায় পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগণার গৌরাঙ্গনগরের বাসিন্দা দেবনাথ মন্ডল। বয়স মাত্র ১১। মা নেই, তবে অনেক কিছু না থাকার মাঝে পড়াশোনাটুকু ছিল। লকডাউনের সময় স্কুল ছুট (Dropout) হতে বাধ্য হয় বাচ্চাটি। SFI

লকডাউনের আগে নবীনচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ফোরে পড়তো, কিন্তু অ্যানুয়াল পরীক্ষা দিতে পারেনি। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের (SFI) “অ্যান্টি ড্রপ আউট স্কোয়াড” খুঁজে পায় দেবনাথকে।
জানা গেছে, বাচ্চাটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চলতি মাসের ১ তারিখে যাত্রাগাছি প্রণবানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে (উঃ মাঃ) ক্লাস সিক্সে ভর্তি করানো হয়। উদ্যোগটি ছিল রাজারহাট_নিউটাউন আঞ্চলিক কমিটি ২এর।

SFI নেতৃত্ব সূত্রে খবর বাচ্চাটির অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের আগে সে নিয়মিত স্কুলে যেত। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন আর্থিক সমস্যা থাকায় সে ধীরে ধীরে পড়াশুনা থেকে সম্পূর্ণই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পড়াশোনার প্রতি ভীতি তৈরী হওয়ায় লকডাউনের পর তাকে স্কুলে যেতে বললেও সে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। পরিবারের বক্তব্য, বাড়ির কেউই পরিস্থিতির কারণে কী করবেন তা বুঝতে পারছিলেন না।


SFI উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সভাপতি দীপ্তজিৎ দাস বাচ্চাটির সঙ্গে কথা বলতে গেলেও প্রথমে সে দৌড়ে পালায়। ডাকাডাকির পর সে আসে। স্কুলে যায় না কেন এই প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, তার ভয় লাগে,আর সে সব ভুলে গেছে তাই স্কুলে যায় না। ও স্কুলে না গিয়ে কি করে এই প্রশ্ন করা হলে ও জানায় পাড়ায় নাইজেরিয়ান ফুটবলাররা থাকে তাদের প্র‍য়োজনীয় জিনিসপত্র এনে দেয় আর তার বিনিময়ে তারা ওকে কখনো কিছু কিনে দিলে ও সেটা খায়, বাকি সময় এদিকে ওদিকে ঘুরে বেরায় ,পাড়ার এক কাকিমা ওকে খেতে দেয় আর বিকেল হলে বন্ধুদের সাথে খেলা করে। আপাতত ফের নিয়ম করে স্কুলে যেতে শুরু করেছে শিশুটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *