আজ খবর ডেস্ক- বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে কোরান রাখাকে কেন্দ্র ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেই দেশে। একরকম সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা লেগেই রয়েছে, ইতিমধ্যেই সে দেশের সরকার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ভারতেও এই সাম্প্রদায়িক চাপানউতোর নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।
আজ, অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ ও অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিল বিজেপি। এক এক জায়গায় এক এক সময় বিজেপি কর্মীরা পথে সরব হবেন এই ঘটনার প্রতিবাদে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন এই ঘটনার প্রতিবাদে। তিনি লিখেছেন, যে ভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং নাশকতামূলক কাজ চালানো হচ্ছে তার যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হোক অবিলম্বে। পাশাপাশি সেই চিঠি রাষ্ট্রপতিকেও উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যেভাবে অধিকার খর্ব করা হচ্ছে এবং পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না, সেই বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায় তার স্বাধীকার বোধ এবং স্বাধীনতা ফিরে পাক।
রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রতিবাদে সামিল হবেন একাধিক বিজেপি নেতৃত্বরা। রিতেশ তেওয়ারি উপস্থিত থাকবেন শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে, এবং দক্ষিণ কলকাতার ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত পথসভার আয়োজন করা হয়েছে বিকেল পাঁচটা নাগাদ।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিজেপির জেলা কার্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি রাখার কথা জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। উত্তর দিনাজপুরে বেলা এগারোটা এবং মুর্শিদাবাদে বেলা বারোটা নাগাদ জেলা কার্যালয়ে, অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।
মূলত এই সাম্প্রদায়িক সমস্যার কারণে প্রতিবাদ কর্মসূচি জানাবে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল। নদীয়া চাকদহ চৌরাস্তায় নেতৃত্ব দেবেন জগন্নাথ সরকার, বিকেল চারটে অনুষ্ঠিত হবে এই কর্মসূচি। এরপর রানাঘাট এবং শান্তিপুরে দফায় দফায় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বিজেপির তরফে। বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জ এলাকায় উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিধায়ক। নীলাদ্রি শেখর দানা, চন্দনা বাউরি এবং সত্যনারায়ণ মুখার্জি উপস্থিত থাকবেন ওই এলাকায়।
হাওড়া উলুবেরিয়া সদর কার্যালয় এবং হুগলি জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি। অন্যদিকে দুপুর তিনটে নাগাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরে, বিরহাটা ঘড়ি মোড়ের কাছে প্রতিবাদ কর্মসূচী জানাবে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সহ সভাপতি, রাজু ব্যানার্জি।
রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য বিক্ষিপ্তভাবে এলাকায় এলাকায় যানজট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। উপলক্ষে আগামীকাল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, এমনই বাজার দোকানে কেনা কাটা, ভিড় থাকবে বলে অনুমান আর তার মধ্যে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আটকানো হতে পারে একাধিক রাস্তাঘাট। সবার উপরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বৃষ্টিপাত। সব মিলিয়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।