আজ খবর ডেস্ক- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে শুরু হবে এক অনন্য ডিজিট্যাল প্রদর্শনী। ভারত এবং ব্রিটেনে ১৫০০-১৮০০ সময়কালে যে দুর্ভিক্ষ ও মৃত্যু দেখা গিয়েছিল, সেই চিত্রই তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি, তুলে ধরা হবে দুই দেশের নারী সভ্যতার চিত্রও। মূলত দুর্ভিক্ষ এবং মন্বন্তরের সঙ্গে জড়িত সময় কালকেই তুলে ধরার চিন্তাভাবনা রয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

এক্সিটর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আয়েশা মুখোপাধ্যায় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সুজিত কুমার মন্ডল, অভিজিৎ গুপ্ত এবং সামন্তক দাস এগিয়ে আসেন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসেবে।

দুই দেশের খরা ও মন্বন্তরের চিত্র তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীতে। এই প্রদর্শনীতে ফুল্লোরার ভোজ, সেখোপির দেশে দুর্ভিক্ষ ইত্যাদিও তুলে ধরা হবে। কাঙালের গান, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও হবে এর আকর্ষণ। পুরাকালের দুর্ভিক্ষ এবং বর্তমানের অতিমারী পরিস্থিতি, এসব কিছুই হবে প্রদর্শনীর নির্যাস।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ ছিল স্ক্রল পেইন্টিং, যা গুরুসদায় দত্তর লেখনীর মাধ্যমে উঠে আসে সমাজের সামনে। স্ক্রল পেইন্টিং এর ইতিহাস বুঝতে গেলে যে সকল মানুষ এর সঙ্গে জড়িত তাদের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং মেদিনীপুরের একাংশ এখনও জড়িত রয়েছেন এই চর্চার সঙ্গে।

তবে নারী সমাজকে তুলে ধরা এক অনন্য ভাবনা যা এক্সিটর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। লিলি লং, এস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের স্নাতকস্তরের ছাত্রী বলেন, সেখোপির দেশে দুর্ভিক্ষ অংশে কাজ করার সময়, তিনি সেই সময়ের ইতিহাসের সঙ্গে অনেকটাই পরিচিত হতে পেরেছেন। কাজ করতে গিয়ে সেই সময়ের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই বিষয়ের উপর একটি ভিডিও বার্তাও তৈরি করতে চান আগামী দিনে।

এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ে, নভেম্বরের ৯ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী। হাতে সময় কম, তাই তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে চাইছেন প্রদর্শনীর সঙ্গে জড়িত সকলেই। এই প্রদর্শনী নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বলে জানান অভিজিৎ গুপ্ত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *