সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি পোস্ট করে আবারও ট্রোল হলেন সদ্য সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া কানহাইয়া কুমার।

গত মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন কাঁনহাইয়া কুমার। যেখানে দেখা যাচ্ছিল , পাহাড় ঘেরা এক উপত্যকায় দামী আসবাবে সুজসজ্জিত ঘরে বসে দামী সোফাসেটে পা তুলে কবিতার বই পড়ছেন কাঁনহাইয়া। শুধু তাই নয় ছবির ক্যাপশন উর্দু কবি বশির বদরের কবিতার লাইন উল্লেখ করে তিনি লেখেন – ‘যদি আমি চুপ থাকি, তা হলে ভুল বোঝাবুঝি আরও বাড়ে। আমি যা বলিনি, তা-ও শুনে ফেলে!’ এরপরই তাকে ঘিরে ইনস্টাগ্রামে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে বহু মানুষ। হ্যাশট্যাগ মার্ক্সবাদ সে আজাদি’ নামে ট্রোলও করা শুরু হয় তাকে।

ছাত্রজীবনে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাম ছাত্র রাজনীতির সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে বিহারে সিপিআই নেতা হিসেবেও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। শুরু থেকেই কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির সমালোচনায় মুখর থাকতেন তিনি। প্রথম থেকেই শাসকের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বের কথা শোনা গেছে তার গলায়। তার প্রত্যেকটি বক্তব্যেই বামপন্থাকেই সবের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারপরই হঠাৎ তার বাম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানে অখুশি হন বহু মানুষ। এমনকি বিরোধীদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাকে। তারপরই একসময় পুঁজিবাদের ঘোর বিরোধী কাঁনহাইয়ার এই বিলাসবহুল মুহূর্তের ছবি দেখে অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছে – কাঁনহাইয়ার নতুন সুর হবে ‘প্রলেতারিয়েত সে আজাদী ‘।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগদানের পর পটনার সিপিআই কার্যালয়ে নিজের ঘর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যান কানহাইয়া। তা নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। তবে সে সময় বিহারের সিপিআই নেতারা জানিয়েছিলেন, ওই এসি তার নিজের টাকায় বসিয়েছিলেন কানহাইয়া। তাই সেটি খুলে নিয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁরা কোনো রকম আপত্তি জানাননি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *