আজ খবর ডেস্ক : এক মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের সাক্ষী থাকলো মুম্বাই। অভিযোগ, ৩৬ বছর বয়সী এক মহিলাকে বাধ্য করে সুইসাইড নোট লিখিয়ে তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করলো এক ব্যাঙ্কের কর্মচারী। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, মৃতের স্বামী ব্যাঙ্কে তার ব্যাক্তিগত ঋণের মাসিক কিস্তি সময় মতো শোধ করতে না পারায় এই নির্মম ঘটনার শিকার হতে হয় তাঁকে। ইতিমধ্যেই রাবেলে পুলিশ ৩৮ বছর বয়সী সেই অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের নাম সমাধান লান্ডভে।
ঠিক কি ঘটেছিল?
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম শীতল নিকম। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, শীতল ও অভিযুক্ত সমাধান লান্ডভের মধ্যে একটি অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্রেই লান্ডভে নিজের নামে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে শীতলের স্বামীকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। মহামারীজনিত আর্থিক সংকটের কারণে, শীতলের স্বামী লান্ডভেকে ওই ঋণের ইএমআই সময় মতো দিতে ব্যর্থ হন, যার ফলে তাদের মধ্যে আর্থিক বিরোধ দেখা দেয়।ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশি আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জানিয়েছেন ইএমআই না দেওয়ার কারণে, তিনিও বেশ চাপের মধ্যে ছিলেন। তারপর গত ২১ শে অক্টোবর, যখন তিনি শীতলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখন উভয়ের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়, বিবাদ মারামারি পর্যন্ত পৌঁছলে লান্ডভে শীতলকে বলেন যে ‘ হয় টাকা ফেরত দাও, নাহলে মরে যাও।’
এই কথা শুনে শীতল মরে যাওয়ার কথা বললে, লান্ডভে জোরজবরদস্তি করে তাকে একটি সুইসাইড নোট লেখায়। নোটটি লেখানোর পর হঠাৎই , লান্ডভে শীতলকে শাড়ি চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার গল্প সাজানোর চেষ্টা করলেও সে ব্যর্থ হয়। কারণ ফ্যানের ব্লেডগুলি মৃতদেহ ঝোলানোর চেষ্টা করার সময় ভেঙে যায়।
পুলিশের অভিযোগ, খুনের পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় লান্ডভে। এরপর সুইসাইড নোট সহ শীতলের গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো শীতলের মৃতদেহ তার শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন লান্ডভে। কিন্তু পরে পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। তারপরই ধীরে ধীরে তাদের আর্থিক বিরোধের কথা সামনে উঠে আসে। ইতিমধ্যেই লান্ডভের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী খুনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।