আজ খবর ডেস্ক- একদিকে যেমন বাড়ছে জ্বালানির দাম, অন্যদিকে বেড়েই চলেছে খাদ্যশস্যের এবং ভোজ্য তেলের দাম। বাজারে গিয়ে জিনিসপত্রে হাত দিলে যেন ছেঁকা খেয়ে ফিরে আসছেন ক্রেতারা। সেই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এবার সরকারি হস্তক্ষেপ।

খাদ্যশস্য এবং দ্রব্য আমদানি পরেও রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট দামে বেঁধে দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। খাদ্য মন্ত্রকের সচিব সুধাংশু পান্ডে জানান, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক সংকট এবং জৈব-জ্বালানির জন্য ভোজ্য তেলের পরিবর্তনের কারণে আন্তর্জাতিক ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। তা সত্ত্বেও ভারতে এর দামে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও, ভারতে ভোজ্য তেলের দাম কম বলেই দাবি করেন তিনি।

এদিন এও জানানো হয়, সরষের তেলের উৎপাদন দশ লাখ মেট্রিকটন বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষের অনেকটাই সাহায্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ওই আধিকারিকের তরফে এও বলা হয়, সরকারের তরফে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর তুর ডাল বেশি আমদানি করা হয়েছে। আগামী মাসে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করে দেশে ভোজ্যতেল ও ডালের দাম আবার পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ভোজ্য তেল ও ডালের দাম কমতে শুরু করব। তার মধ্যে একটি নতুন ফসল আসবে, যা ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তি দেবে।

যে রাজ্য সরকারগুলি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করার পরে আগামী সপ্তাহ থেকে স্টক সীমা নির্ধারণ শুরু করবে। যদি কোনো ব্যবসায়ী নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি মজুদ সংগ্রহ করতে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, পেঁয়াজের দামের ওপর নজর রাখতে মন্ত্রণালয় প্রতি সপ্তাহে একটি বৈঠক করবে। বর্তমানে দেশে ১ লাখ টন পেঁয়াজের বাফার স্টক রয়েছে।

সুধনশু পান্ডে জানান, যে রাজ্য সরকারগুলি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরে আগামী সপ্তাহ থেকে স্টক সীমা নির্ধারণ শুরু করবে। যদি কোনও ব্যবসায়ী বেশি পরিমাণে শস্য মজুদ করছে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দামের উপর নজর রাখতে মন্ত্রক প্রতি সপ্তাহে একটি বৈঠক করবে। বর্তমানে দেশে ১ লাখ টন পেঁয়াজের বাফার স্টক মজুদ রয়েছে, বলে জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *