সিকিমে আগামী বছর থেকে থেকে বন্ধ হতে চলেছে প্যাকেজড পানীয় জলের ব্যাবহার। সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পি.এস তামাংগ জানিয়েছেন , ২০২২ এর ১ লা জানুয়ারি থেকে সিকিমে প্লাস্টিকের বোতলে পানীয় জল বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে যে সমস্ত বিক্রেতাদের কাছে স্টক মজুত রয়েছে তাদের কথা মাথায় রেখে বিক্রেতাদের ৩ মাসের অন্তর্বর্তকালীন সময় দেওয়া হয়েছে। যাতে সেই সময়ের মধ্যে তারা নিজেদের স্টক বিক্রি করে ফেলতে পারে।
প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ সিকিমে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই প্লাস্টিকের ব্যাবহার বন্ধ করার চেষ্টা চলছিল। কারণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সিকিমের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। তাই পর্যটকদের আনাগোনার সাথেই প্লাস্টিকের বোতলে বিক্রি হওয়া পানীয় জলের চাহিদাও বেশি। এতে ধীরে ধীরে এই ধরনের বোতল ব্যাবহার থেকে দূষণ বাড়তে শুরু করছে।
সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী তামাংগ বলেন, সিকিম প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী। এমনকি পানীয় জলের যোগান পূরণ করতেও একাধিক প্রকৃতিক উপায় গ্রহণ সম্ভব। তাই জনগণকে প্যাকেজড পানীয়ের পরিবর্তে পানীয় জলের জন্য প্রাকৃতিক উৎসগুলির উপর বেশি নির্ভর করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইতিমধ্যেই উত্তর সিকিমের লাচেন সহ বেশ কয়েকটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে প্লাস্টিকের বোতলে পানীয় জল বিক্রি করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার সমগ্র সিকিমেই সেই নিয়ম লাঘু করতে সেখানকার সরকারের তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধু পাহাড়ি অঞ্চলে নয়, সামুদ্রিক এলাকা গুলিতেও দূষণ বাড়াচ্ছে প্লাস্টিক। পরিবেশবিদদের মতে , এই দূষণ বাড়তে থাকলে ভূপৃষ্ঠের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এমনকি কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠে প্লাস্টিক জমে বাড়ছে জলস্তর। এমন সময় দাড়িয়ে সিকিমকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিক বর্জিত জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে জানানো সিদ্ধান্তকে বেশির ভাগ মানুষই সাধুবাদ জানিয়েছেন।