আজ খবর ডেস্ক- বিপুল টাকার প্রতারণা করে চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল এক ব্যবসায়ী। সিআইডি, ইডি তল্লাশি চালাচ্ছিল ওই প্রতারকের। অবশেষে টালিগঞ্জে তার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানোর পর ধড়া পরে ঐ প্রতারক ব্যবসায়ী।

প্রায় ১৮৪.৮৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ব্যবসায়ীর নাম আশিষ ঝুনঝুনওয়ালা। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এর কাছ থেকে মোটা টাকার ঋণ নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর সেই টাকা অন্য ব্যবসায় ব্যবহার করেন তিনি। সময় মত ব্যাঙ্কে ওই অর্থ ফেরত না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে তল্লাশি শুরু হয় ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। রামস্বরূপ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক এই আশিষ ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই। এরপর আসে ইডি-ও। এই তদন্তের মধ্যেই গত ১৬ই নভেম্বর গ্রেপ্তার হয় আশিষ।

অন্যদিকে, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে দেবব্রত হালদার নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। ১৭৩.৫০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে ইডি-র হাতে পাকড়াও হয় ওই ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারির পর তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৪.৬৩ কোটি টাকা, সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ২টি গাড়ি। রাজ্যের ৬ জায়গায় তল্লাশির পরে পাকড়াও হয় ওই প্রতারক। ব্যাঙ্কের জাল নথি দেখিয়েই বিপুল পরিমাণ টাকার জালিয়াতি করেছে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে। প্রথমে ওই ঘটনা সিআইডির হাতে গেলেও প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসতেই ইডি-র হাতে যায় তদন্ত ভার। জাল ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা দিয়ে জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের থেকে এই টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ক্ষুদ্র শিল্পের কেউ এই ঘটনায় জড়িত আছেন নাকি সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর থেকে। কিন্তু পরে তা সঠিক সময়ে ফেরত দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি।

অন্য এক ঘটনায়, কসবা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দু’জনকে। প্রায় ২০ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দিয়েছিলেন তারা। গতকাল তাদের আদালতে তোলা হয়। শহরে একের পর এক প্রতারণা এবং জালিয়াতির কারণে বড় কোনও চক্র কাজ করছে বলে মনে করছে প্রশাসন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *