আজ খবর ডেস্ক : তবে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে মাত্র ৭৭ টি আসন পেয়েই থেমে যায় বিজেপির সেই স্বপ্নের গাড়ি। ইতিমধ্যেই দলের বিধায়ক সংখ্যাও নেমে এসেছে ৭০-এ। তারমধ্যে নেতা কর্মীদের দলত্যাগ বিজেপির কাছে যেন এক প্রকার নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। তারমধ্যে দোরগোড়ায় দাড়িয়ে কলকাতা এবং হাওড়ার পুরভোট । যদিও এই নিয়ে এখনও কলকাতা হাইকোর্টের আইনি জটিলতা কাটেনি। তবুও, পুরভোটে নতুন উদ্যমে লড়াই করে তৃণমূলকে প্রত্যাঘাত করতে আবারও সচেষ্ট হচ্ছে রাজ্য বিজেপি।
সেই মর্মেই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এই মুহূর্তে তিন দিনের দিল্লি সফরে রাজধানীতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লিতে। শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের শেষেই নাকি বঙ্গ বিজেপি’র রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল ঘটতে চলেছে। সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে মোট ৩১ জনের কমিটি গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে, তৃণমূলের পথে হেঁটেই এবার রাজ্য কমিটিতে মহিলা ও যুবদের বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপি।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নতুন রাজ্য কমিটিতে ৬ থেকে ৭ জন মহিলা সদস্য থাকতে পারেন। মঙ্গলবার বিএল সন্তোষ ও অমিত মালব্যর সঙ্গে এই বিষয় দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
সম্প্রতি বিজেপি ছেড়েছেন, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিজেপির কিছু জনপ্রিয় মুখ। রাজীব ফিরে গিয়েছেন তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পরই মমতার দলে নাম লিখিয়ে নেন বাবুল সুপ্রিয়।এই ভাবে একের পর এক নেতা দল ছাড়ায়, এই মুহূর্তে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। সেইসঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তো রয়েছেই। দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সংঘাতের জেরে হাওড়ার জেলা সভাপতিকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যেই দলের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুকান্ত মজুমদারকে ইস্তফাপত্র পাঠান বিজেপির নদিয়া দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। সেখানেও প্রকাশ্যে উঠে এসেছে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের প্রসঙ্গ।
সুকান্ত মজুমদারদের বক্তব্য, যারা বিজেপির নীতি আদর্শ মেনে দল করছেন, তারা উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন। একজন- দু’জনের দলত্যাগ নিয়ে তাঁদের কোনও মাথা ব্যথা নেই।তবে বিধানসভা ভোটের পর থেকে যে ভাবে একের পর এক উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি, তাতেই বাড়ছে দলবদলের প্রবণতা। তাই এমন কঠিন সময় দাঁড়িয়ে দলের রাজ্য কমিটিকে ঢেলে সাজিয়ে দলকে ফের শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ঠিক যেন অস্তিত্বের লড়াই!