আজ খবর ডেস্ক : ছট পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। কিন্তু প্রতিবছরই এই পুজোর আয়োজনকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভয়ানক জল দূষণের সৃষ্টি হয়। এই দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে, জলে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছরে। ফলে মাছেদেরও মড়ক লাগে। তাই গতবছরের নিয়ম বহাল রেখেই এবছরও কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। কোনওভাবেই পুণ্যার্থীরা যাতে সরোবরের ভিতরে প্রবেশ না করতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজরদারি রাখার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে কলকাতা পুলিশের উপর।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কোথায় ব্রত পালন করবেন পূর্ণ্যার্থীরা?

আগামী ১০ এবং ১১ই নভেম্বর ছটপুজো রয়েছে। তাই পুণ্যার্থীদের জন্য বিকল্প হিসেবে কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএ-র যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র সরোবর লাগোয়া এলাকায় ৩৯ টি জলাশয় ও ঘাট তৈরি করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। এই জলাশয়গুলির পাশে স্নানের পর পোশাক পরিবর্তনের জন্য বিশেষ জায়গা বা অস্থায়ী বাথরুমের ব্যবস্থা থাকবে।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে কি ভাবে জানবেন পুণ্যার্থীরা ?

কেএমডিএ’র তরফে জানানো হয়েছে, ছটপুজোর পুণ্যার্থীরা থাকেন এমন ওয়ার্ডগুলি শনাক্ত করে সেই এলাকার কাছে কাছে হোর্ডিং ও পোস্টার দিয়ে বিকল্প জলাশয়ের কথা জানানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। পূর্ণ্যার্থী চাইলে কেএমডি-র এলাকায় ১৩৮ ঘাটেও ছটপুজো করতে পারেন। শুধু আলোই নয়, পুজোর জন্য অন্যান্য যাবতীয় ব্যবস্থাও থাকছে গঙ্গার ঘাটগুলিতে।

কিন্তু এত বিধিনিষেধ, ব্যবস্থাপনার পরও গতবছর বহু পুণ্যার্থীদের নিয়ম ভাঙতে দেখা গিয়েছিল। রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করার ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তাঁরা তা মানেননি। উপরন্তু পুলিশের সামনে দিয়েই মিছিল করে পুজোপাঠ করেছিলেন তাঁরা। পুলিশের তরফ থেকে কেন আটকানো হয়নি? জানতে চাওয়ায় সেই সময় কেএমডিএ দাবি করেছিল যে, ধর্মীয় ভাবাবেগের কারণে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করা বা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। এবারও কী সেই একই চিত্র দেখা যাবে নাকি নিয়ম মানবে পুণ্যার্থীরা? সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *