আজ খবর ডেস্ক- কেন্দ্রের লক্ষ্য উত্তর পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশের মধ্যে যোগযোগ স্থাপন করা। তার জন্য প্রয়োজন কলকাতায় দ্বিতীয় একটি বিমানবন্দর। আর সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এর একটি বৈঠকে এই ইচ্ছে প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

প্রতিদিনই মেট্রো শহরগুলিতে বিমান যাত্রী সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে হুহু করে। তাদের মধ্যে দিল্লিতে আনুমানিক ৭.৫ কোটি এবং মুম্বাইয়ে ৫ কোটি যাত্রী সংখ্যা দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যে। একই রকমভাবে আসন্ন কিছু বছরের মধ্যে কলকাতা শহরের বিমান যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তাই আগেভাগেই কলকাতায় দ্বিতীয় একটি বিমান বন্দরের জন্য জমি খুঁজতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে বাণিজ্যিক মহলের একাংশের সংশয় তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় বিমানবন্দর তৈরি করার যৌক্তিকতা আদৌ আছে কি! যেখানে এতদিনে প্রস্তাবিত যাত্রীসংখ্যা এখনও পৌঁছাতে পারেনি কলকাতা বিমানবন্দরে, সেখানে নতুন করে আর একটি বিমানবন্দর তৈরি করলে তা কতটা সফল হবে?

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ২২ লাখ যাত্রী সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল কলকাতা বিমানবন্দরে গত আর্থিক বর্ষে। সেখানে দেখা গিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে মাত্র ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে। ফলে যাত্রীসংখ্যা যে অনেকটাই কম কলকাতা বিমানবন্দরে তা কার্যত নিশ্চিত।

অতিমারির আগেও, যাত্রীর পরিমাণ এবং বিমান চলাচলের দিক থেকে দিল্লি এবং মুম্বাই বিমানবন্দরের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল কলকাতা। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েরই কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা এবং আন্তর্জাতিক বিমান সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন এক বিমানবন্দরের আধিকারিক। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, কলকাতার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ আছে এমন আন্তর্জাতিক গন্তব্যের সংখ্যাও নগণ্য যার দিকেও মন দেওয়া প্রয়োজন।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিন্ধিয়া বলেন, তাঁর মন্ত্রক আঞ্চলিক এবং দীর্ঘ দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে সংযোগ উন্নত করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সরকার ১৩৬টি থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের সংখ্যা ২২০তে বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। আসন্ন সময়ে, রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে আরেকটি বিমানবন্দর গড়ে ওঠে কিনা কলকাতা শহরে, সেই দিকে তাকিয়ে এখন বাণিজ্যিক মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *