আজ খবর ডেস্ক : শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি দল ২১, গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউতে একটি সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ ১৯৬৫-এর অধীনে সিল করে দেয়। এই সম্পত্তিগুলির উপর অবৈধ দখলীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। MHA অধীনস্থ ভারতের শত্রু সম্পত্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত (CEPI) বিভাগের কর্মকর্তারা, প্রধান সহকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত (দিল্লি ও কলকাতা) অভিষেক আগরওয়াল নেতৃত্বে অভিযানটি চালায়।

মন্ত্রক সূত্রে জানান হয়েছে, ১৯৬৫ থেকে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বা পরে এই সম্পত্তির মালিক আজিজুর রহমান, নাজিদুর রহমান এবং নূরজাহান বেগম পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় , সম্পত্তিটিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।উত্তরপ্রদেশের পর বাংলায় সবচেয়ে বেশি ‘শত্রু সম্পত্তি’ রয়েছে বলে জানান হয়। কলকাতায় এই ধরনের ৯৬ টি সম্পত্তি রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি বিবাদিবাগের মত স্থানে অবস্থিত। রিয়েলটররা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর নজর রাখছে। জানান হয়েছে, এই ধরনের বেশ কিছু জায়গা অবৈধভাবে দখল করে হয়েছে।

কেন্দ্রের তরফ থেকে এমন ৩ হাজারটিরও বেশি ‘শত্রু সম্পত্তি’ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেগুলি ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত -পাকিস্তান যুদ্ধের পর তৎকালীন চীনা ও পাকিস্তানি নাগরিকেরা পরিত্যাগ করে চলে যায়। সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, CEPI অধীনস্থ ‘শত্রু সম্পত্তির’ সংখ্যা ৯,৪০৬ থেকে বেড়ে ১২,৪২৬ তে দাড়িয়েছে।কলকাতায় এই ধরনের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে জুতার দোকান, রেস্তোরাঁ, বাগান এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন।

বাংলার ১৩টি জেলা জুড়ে CEPI-এর ২,৭৮৬ টি সম্পত্তি ছড়িয়ে রয়েছে।এর মধ্যে ২,৭৩৫ টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। যারা দেশভাগের সময় বা ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারতের এই সম্পত্তি ছেড়ে পাকিস্তানে গিয়ে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট ৫১ টি, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে যারা চীনা নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন তাদের স্থাবর সম্পত্তি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *