আজ খবর ডেস্ক- একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন উঠে আসে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তিনি দেখা করছেন নাকি। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান “কোনও বাধ্যবাধকতা আছে কি?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে দিল্লিতে পা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মূলত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই তাঁর দেখা করার কথা ছিল। পরিকল্পনা মত হয়েছেও ঠিক তেমনই।

ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কিছু রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্ষমতা বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। আর সেই প্রসঙ্গে একাধিক বিজেপি বিরোধী মন্তব্য উঠে আসছে তৃণমূল শিবির থেকে। এরইমধ্যে প্রাপ্য অর্থ, বাণিজ্য সম্মেলন, শিশুদের জন্য করোনার টিকার মতন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন। তবে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করছেন না কেন সেই প্রশ্নে সোজাসাপ্টা উত্তর দেন মমতা। তিনি বলেন, দিল্লিতে এলেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে হবে এমন কোনও সাংবিধানিক নিয়ম আছে কি? তাঁরা (সোনিয়া গান্ধী) এখন পাঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তাই তাঁদের বিরক্ত করা হয়নি।

ফাইল ছবি

প্রকাশ্যে পাঞ্জাব নির্বাচনের কথা বললেও আদতে নিজের ক্ষমতা কায়েম করার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করার চিন্তা-ভাবনা করছেন কি মমতা? সেই প্রশ্ন জল্পনা সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, দিদি মোদিকে ভাইফোঁটা দিতে ডেকেছে। মোদির দালালি না করলে দিদির ক্ষমতা থাকবে না পশ্চিমবঙ্গে। অন্যদিকে, বামেদের তরফ থেকে বলা হয়, মমতা মোদির মধ্যে এই বৈঠক রাজনৈতিক মহলে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভিতরে ভিতরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি এক হয়েই চলছে।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোদির বৈঠক সফল বলেই মনে করছেন একাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি এবং প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে, আগামী ২০ শে এপ্রিল কলকাতায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাণিজ্য সম্মেলনে। তবে এই সবকিছুর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস বিরোধী মনোভাব কাজ করছে নাকি, তা রাজনৈতিক মহলে বেশ কিছুটা জল্পনার সৃষ্টি করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *