আজ খবর ডেস্ক- সম্প্রতি জি ২০ বৈঠক এবং বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পৌঁছেছেন পশ্চিমে। চিরাচরিত রীতি মেনে সেখানেও আলিঙ্গনে জড়িয়েছেন মোদি। তবে সেই আলিঙ্গনে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে খবর। অতিমারির সময় এভাবে মাস্ক বিহীন আলিঙ্গনের জন্যে অস্বস্তির মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলন সারার পর মঞ্চে উঠে মোদি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরস্পর মুষ্টি-স্পর্শ করে একে অপরকে সম্বোধন করেন। এরপরেই ঘটল বিপত্তি। মোদি স্বভাবসিদ্ধ ভাবে এগিয়ে যান রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গুতেরেসের দিকে। আলিঙ্গন করেন মাস্ক ছাড়াই। তবে ছবিতে তাঁর মুখ দেখে মনে হচ্ছে এই মাস্ক বিহীন আলিঙ্গনে তিনি একেবারেই খুশি নন। বরং কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন গুতেরেস।
মোদির এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। অতিমারীর সময়ে এভাবে মাস্ক ছাড়া কিভাবে তিনি একের পর এক রাষ্ট্রনেতাকে বুকে টেনে নিচ্ছেন?
এই ঘটনার জেরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন জনসাধারণের সামনে। সেখানে প্রশ্ন উঠেছে, যখন এভাবে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখে মাস্ক নেই কেন? পাশাপাশি এও বলা হয়, মোদি সবাইকে মাস্ক ছাড়া আলিঙ্গন করছেন কেন, যেখানে দূরত্ব বিধি পালন করা অত্যন্ত আবশ্যক।
যদিও এই বিষয়টিকে হাতছাড়া করেননি বিরোধীরা।ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউকে আটকানোর প্রবল চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন প্রকার নিয়ম করা হচ্ছে মাস্ক পড়ার জন্য। পথে-ঘাটে বা ট্রেনে মাস্ক না পড়লে গুনতে হচ্ছে মোটা টাকার ফাইন। সেখানে নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্রনেতা হিসেবে বিদেশের মাটিতে পা রেখে এভাবে মাস্ক খুলে ফেলছেন কিভাবে? পাশাপাশি বিরোধীরা এই আখ্যা দিয়েছেন, দেশের রাষ্ট্রনেতার তরফ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা পৌঁছাবে? যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে পাল্টা কোনও মন্তব্য আসেনি সরকারের তরফে।