সম্প্রতি ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট (NEET) ইউজি-এর ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই নিট ইউজি পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম হলেন বাঁকুড়া জেলার সৌম্যদীপ হালদার। গতকাল, অর্থাৎ সোমবার রাতে সর্বভারতীয় এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাঁর খবরটি প্রকাশ্যে আসে যে, বাঁকুড়ার সোনামুখীর শ্যামবাজারের ছাত্র সৌম্যদীপ হালদার এই পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। ইতিমধ্যেই দেশের সেরা ২০ তালিকাতেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন সৌম্যদীপ। গোটা ভারতে তার স্থান ১৯ তম স্থান।
এই খবরে উৎসবের আগেই খুশির হাওয়া জেলার শিক্ষা মহলে।ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল সৌম্যদীপের। ছোটবেলায় তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, বড় হয়ে কী হতে চাও? জবাব আসত ‘ডাক্তার’। তাই প্রথম থেকেই তার পরিবারেরও ইচ্ছা ছিল যে ছেলে চিকিৎসক হোক। অবশেষে ইচ্ছেপূরণ ! সর্বভারতীয় পরীক্ষায় নজরকাড়া ফলে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল সৌম্যদীপ। নিট ইউজি রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করেই ভারতে মেডিকেল কলেজগুলোতে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট স্তরে ভর্তি হাওয়া যায়। আর সেই পরীক্ষাতেই রাজ্যের মধ্যে প্রথম সৌম্যদীপ।
এত ভালো রেজাল্ট নিয়ে কী বলছেন সৌম্যদীপ? সৌম্যদীপ জানাচ্ছেন, সবে যাত্রা তার যাত্রা শুরু হল। দিল্লির এইমস থেকে রেডিওলজি স্পেশালিস্ট হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। আগাগোড়াই পড়াশোনায় তুখোড় ছিল সৌম্যদীপ। বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজী মাধ্যম স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন সে। ২০১৯ সালে ৯৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। এরপর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে দ্বাদশেও ভালো রেজাল্ট হয় টান। ১০+২-তে ৯৫.৬% নম্বর পান। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই সাফল্যে খুশিতে আত্মহারা জেলার শিক্ষক মহল।
পরীক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় যত নম্বর পান, তার ওপর ভিত্তি করে এনপিএ অল ইন্ডিয়া কোটার ১৫ শতাংশ সিটের একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। এর সাথে এনটিএ রাজ্য কোটার বাকি ৮৫ শতাংশ আসনের কাউন্সেলিং করা হয়। যোগ্যতা অনুযায়ী রাজ্যের প্রার্থী তালিকা বিভাগ অনুসারে প্রকাশ করা হয়। আর তার ভিত্তিতেই রাজ্য নিজেদের মেধা তালিকা বানিয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এবছর নিট (NEET)-এর ফল প্রকাশ কিছুটা দেরিতে হয়েছে। গতবছর নিট-এর ফল প্রকাশিত হয়েছিল বেরিয়েছিল ১৮ ই অক্টোবর। প্রার্থীদের এই পরীক্ষা পাশ করার জন্য নূন্যতম ২০২১-এর কাট অফ পার্সেন্টাইল আর স্কোর পেতে হয়।