আজ খবর ডেস্ক- ‘হঞ্চো টেক ফর গুড ফাউন্ডেশন’-এর তরফে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে পথ সচেতনতার জন্যে রাস্তায় নামল তাদের কলকাতা শাখা। পথ দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের স্মরণ করে ফের সচেতনতার জন্যে প্রচার দেখা গেল কলকাতার পথে। প্রতি বছর নভেম্বরের তৃতীয় রবিবার পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের স্মরণ করা হয়। এবছর ২১ তারিখ পড়েছে এই মাসের তৃতীয় রবিবার। ২৩ তারিখ অর্থাৎ আজ এই পথ সচেতনতার প্রচার লক্ষ্য করা গেল রাজপথে।
কলকাতা পুলিশকেও ট্র্যাফিক নিয়ম মানার জন্যে প্রচার করতে দেখা গেল এদিন। হাতে প্ল্যাকার্ড, তাতে লেখা গতির বিরুদ্ধে প্রচার। এবছরের থিমটাই ছিল অবশ্য তেমন। অতিরিক্ত গতিকে ‘না’ বলতে শেখাচ্ছে এই সংস্থা। কলকাতা শহরে এরমধ্যেই ঘটে গেছে মর্মান্তিক বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা। কখনও বাঘাযতীন উড়ালপুলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের, আবার কখনও জেব্রা ক্রসিং এ দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে পথচারীর। যার মধ্যে বেশ কিছু দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা ঘটেছে চিংড়িঘাটায়।
পথ সচেতনতার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী ইদানিং প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে কড়া ধমক দিয়েছেন। এলাকা নিয়ে বিভেদ করলে চলবে না,বরং দ্রুত পথ সচেতনতার বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন তিনি। আজকের এই উদ্যোগে যারা হেলমেট পড়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁদের বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি, তাঁদের দেওয়া হয়, সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ স্টিকার। বাসের গায়ে ওই স্টিকার আটকে দিতে দেখা যায় পুলিশকে । অনুষ্ঠানে সঙ্গী ছিলেন দিল্লির কনসিউমার ভয়েস।
বিশেষত তিন ধাপে প্রচার চালান তারা এদিন। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যাদের তাঁদের স্মরণ করা, ট্র্যাফিক নিয়ম পালন করা, এবং বাকিদের সেই নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা। সরকারের তরফে আগেও বলা হয়েছে, ‘সাবধানে চালাও, জীবন বাঁচাও’। এবার সেই গতির বিরুদ্ধেই নামতে দেখা গেল এই উদ্যোগীদের।
পরিসখ্যান বলছে, ভারতে প্রতি বছর পাঁচ লাখ দূর্ঘটনা ঘটে আর তার মধ্যে কমপক্ষে দেড় লাখ লোকের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে অন্যতম কারণ অতিরিক্ত গতি। এবার সেই গতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল পুলিশ এবং সামাজিক সংগঠনগুলিকে।