রুমানা সুলতানা (ছবি সংগৃহীত)

আজ খবর ডেস্ক- তাঁর কৃতিত্ব আগেই নজরে এসেছিল, এবার ফের একবার কৃতিত্বের আলো ছিনিয়ে নিলেন মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। ২০২১ উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০ তে ৪৯৯ পেয়ে প্রথম স্থানে ছিলেন এই কৃতি। এবার তাক লাগিয়ে দিলেন সর্বভারতীয় মেডিকাল প্রবেশিকায়। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট, ইউজি পরীক্ষায় তাঁর ফলাফল ৯৯.৯২% নম্বর। সর্বভারতীয় স্থান ১,০৫৭। এই স্বীকৃতিতে খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে, কান্দির রাজা মণীন্দ্র চন্দ্র গার্লস হাই স্কুলের রুমানা মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেন, এরপর উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ফের একবার প্রথম। আর এবার মেডিকাল প্রবেশিকায় এই অভাবনীয় সাফল্য। রুমানার বাবা এবং মা, দুজনেই শিক্ষক শিক্ষিকা।

মাধ্যমিকে রুমানার নম্বর ছিল ৬৮৭, উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৯। একের পর এক নম্বরের জোয়ারে ভেসেছেন রুমানা। যদিও পরবর্তী কালে, বায়োলজি নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। তবে মেডিকাল পরীক্ষায় সাফল্যের পর তাঁর দরজা যেন আরও এক ধাপ খুলে গেল। অন্যদিকে, বাঁকুড়া জেলার সৌম্যদীপ হালদার ওই একই পরীক্ষা অর্থাৎ নিট ইউজি -তে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের ছাত্র সে। দ্বাদশ শ্রেণীতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৫.৬ শতাংশ।

সর্বভারতীয় এই মেডিকাল পরীক্ষার প্রবেশিকায় পাশ করলে এমবিবিএস পড়ার জন্য যেকোনও মেডিকাল কলেজে সুযোগ পান ছাত্রছাত্রীরা। এখানেই শেষ নয়, সবার মধ্যে এনপিএ অল ইন্ডিয়া কোটার ১৫ শতাংশ সিটের একটি মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। যেখানে সুযোগ থাকে সর্বশেষ ভালো ফল করে প্রবেশাধিকার নেওয়ার। এর সঙ্গে, এনটিএ রাজ্য কোটার বাকি ৮৫ শতাংশ আসনের কাউন্সেলিং করা হয়। রাজ্যে যে যত ভালো ফলাফল করবে তার উপর নির্ভর করবে কাউন্সেলিং পর্বে এগিয়ে থাকার।

আপাতত চিকিৎসাবিজ্ঞানের দিকেই এগোতে চলেছেন রুমানা। তাঁর লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে আশাবাদী তাঁর পরিবার এবং শুভানুধ্যায়ীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *