আজ খবর ডেস্ক : গত সপ্তাহেই রাজ্যজুড়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা হয়েছে। তারপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটি স্কুলে শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে জারি করা নির্দেশিকাকে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। ওই স্কুলের তরফ থেকে জানান হয়, শাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পোশাক পরে শিক্ষিকাদের স্কুলে আসা চলবে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরে অবস্থিত বলরাম মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার স্কুল খোলার আগেই সেই স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শিক্ষিকাদের শাড়ি পরা নিয়ে বিতর্কিত নির্দেশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরতে হবে শিক্ষিকাদের। তাতে অবশ্য শিক্ষিকারা কেউই আপত্তি জানাননি। তবে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল শিক্ষিকাদের ভেতর। সেই অসন্তোষের সমাধান করতে চলতি সপ্তাহের সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। যেখানে বৈঠকে শাড়ি পরার বিষয়টি বাদ দেওয়া হলেও, শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরার নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষিকাদের।
কী কারণে এমন নির্দেশ দিল স্কুল?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, শিক্ষিকারা অনেকেই চুড়িদার, লেগিংস পরে স্কুলে আসেন। ফলত, শিক্ষিকাদের এই ধরনের পোশাক পরা নিয়ে অভিভাবকরা একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে আপত্তি জানিয়েছেন। অভিভাবকদের বক্তব্য, ‘দিদিমণিরা সালোয়ার কামিজ বা লেগিংস পরে আসতে পারবেন না। ওদের দেখেই ছেলেপুলেরা শিখবে। আন্টি মানেই শাড়ি পরবে।’ তাই শিক্ষিকারা যাতে শাড়ি পড়েই স্কুলে আসেন, সেই বিষয়ে লিখিত অভিযোগও জানায় অভিভাবকেরা।
আর তাঁদের সেই অভিযোগকে ঘিরে স্কুলে যাতে কোনও রকম অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।সোমবারের ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, শিক্ষিকাদের শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য কোনও আপত্তি জানাননি শিক্ষিকারা।