আজ খবর ডেস্ক- সমুদ্রতল সরে গিয়ে মহাদেশের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় সাত কোটি বছর আগে, বিজ্ঞানীদের দাবি কিছুটা এমনই। পৃথিবীর উপর টেকটোনিক প্লেট সরে গিয়ে উথাল পাতাল ঘটেছিল, চলেছিল ঝড় বৃষ্টি। ধীরে ধীরে গরম লাভা জমে তৈরি হয়েছিল পাথর, সৃষ্টি হয়েছিল মহাদেশগুলির। তবে সেসব নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স- এর গবেষকরা বলছেন প্রায় ২৫০ কোটি বছর আগে জমতে শুরু করেছে উপমহাদেশ ও মহাদেশের মাটি। এরপর আগ্নেও শিলা এবং পাললিক শিলা তৈরি হয়েছে তার থেকেও পরে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এও বলা হয়, আনুমানিক ৩৩০ কোটি বছর আগে আর্কিয়ান প্লেটগুলি মজবুত হওয়ায় ধীরে ধীরে জীবন শৈলী তৈরি হতে সাহায্য করেছে।

ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মিনারেল দিয়ে তৈরি স্যান্ড স্টোন পরীক্ষা করতে গিয়ে গবেষকদের হাতে উঠে এসেছিল এক অভাবনীয় ফল। যা শুনলে অনেকেই চমকে উঠবেন। প্রায় ৩৩০ কোটি বছর আগে জমতে শুরু করেছিল আগ্নেয়গিরি থেকে এই অংশ। পুরনো তৈরি হওয়া এই অঞ্চল শক্ত জমিতে পরিণত হয়েছিল যা বর্তমান ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলা। ওই এলাকার নদী উপত্যকার পাথর পরীক্ষা করার সময় এমনই তথ্য উঠে আসে গবেষকদের হাতে। যা হয়তো পৃথিবীতেই প্রথম অঞ্চল। সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলা যায়নি।

সিংভূমের ক্ষেত্রে ভূত্বকের নীচে গরম ম্যাগমার উপস্থিতি আগেই ছিল। যার কারণে ক্র্যাটনের কিছু অংশ ঘন হয়ে যায় এবং সিসিলিয়া ও কোয়ার্টজের মতো উর্বর, হালকা ওজনের উপাদান দিয়ে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে এই অঞ্চল। এই প্রক্রিয়াটি চারপাশের ঘন শিলার তুলনায় ক্র্যাটনকে শক্ত করে তবে রাসায়নিকভাবে হালকাও তৈরি করে ওই অঞ্চলকে। এইভাবে ওই অঞ্চল মহাসাগরের জলের উপরে থাকতে সক্ষম হয়।

এই অঞ্চলে জীবকা গঠনের পিছনে আবহাওয়া এবং সমুদ্রের হওয়াও অবদান রেখেছে অনেকটাই। আগে এই জমি তৈরি হওয়ার ফলে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন পেয়েছে। ধীরে ধীরে যা সাহায্য করেছে প্রাণ তৈরি হতে এবং প্রাণের প্রজন্ম বজায় রাখতে।

সিংভূমের পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকার কাপভাল এবং অস্ট্রেলিয়ার পিলবারা অঞ্চল ওই একই সময় তৈরি হয়েছিল বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। পাথরের গঠন এবং সময়কাল নির্ণয় করে এমনটাই ধারণা করেছেন তাঁরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *