আজ খবর ডেস্ক- ত্রিপুরায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক দুই মহিলা সাংবাদিক। তাঁদের নাম সমৃদ্ধি কে সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা। মানবাধিকার লংঘনের জন্য তাঁদের আটক করেছে পুলিশ বলে দাবি প্রশাসনের। পাশাপাশি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয় এই দুই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।

উনাকোটি জেলায় পালবাজার এবং চৌমুহনি এলাকায় কাজে নামার আগে ওই দুই মহিলা সাংবাদিক পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাঁদের তরফে। এরপর রাত ১০ টার দিকে পুলিশ হোটেলে পৌঁছয়, ভোর ৫ টায় দেওয়া হয় এফ আই আর এর কপি। কেন এমন ঘটলো জিজ্ঞাসা করার পর পুলিশের তরফে জানান হয়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।

ওই দুই মহিলা সাংবাদিকের দাবি, তাঁদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে তাঁদের আধার কার্ড পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়। তাঁরা শিলচর বিমানবন্দর যাওয়ার পথে নিলাম বাজার থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। উজালা হোমে কঠোর নিরাপত্তায় তাঁদের রাখা হয়। বেশ কিছু আইনজীবী এবং বিরোধী দলের বক্তব্য, নিজেদের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার প্রচার আটকাতে প্রশাসনের সাহায্য নেয় বিজেপি।

প্রসঙ্গত, কাকরাবন এলাকার হুরিজলায় রহমত আলী নামের এক ব্যক্তির আধ পোড়া বাড়ির ছবি তাঁরা সমাজ মাধ্যমে দেওয়ার পরেই তাঁদের উপর চোখ পড়ে। তাঁদের উদ্দ্যেশ্য করে বলা হয়, তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন। পাশাপাশি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ/ ১৫৩ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এছাড়াও ১৯৩/ ৫০৪/১২০ বি/২০৪ ধারা রুজু হয়। একই সঙ্গে ফটিকরা থানায় ২১ শে নভেম্বর তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়। কারণ সেখানেও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের সাংবাদিক মহল তাঁদের পাশে রয়েছে বলে জানা যায়। এডিটরস গিল্ডের তরফ থেকে তাঁদের মুক্তির দাবি করা হয়।

সিপিআইএমএল- এর রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অত্যাচারকে আটকানোর জন্য সরকারের তরফে নানারকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, কাঞ্চন দাস নামের এক ব্যক্তি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে। সিপিআইএমের তরফে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এই ঘটনার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *