আজ খবর ডেস্ক:
Partha Chatterjee বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর বলার দিন। অপেক্ষা ছিল সবফলের। আলিপুর আদালতে ঢোকার মুখে এদিন কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
চলতি মাসের ১৬ তারিখ পার্থকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। সেদিন তাঁর জামিনের আবেদন করেছিলেন আইনজীবী। বিচারক জানান, ২৩তারিখ সেই শুনানি তিনি শুনবেন। সেদিনই বিচারকের উদ্দেশে হাতজোড় করে পার্থ বলেছিলেন, “হুজুর, আমি ওইদিন পাঁচ মিনিট বলতে চাই। দয়া করে যদি আমায় পাঁচটা মিনিট বলতে দেন।”

সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন
সিপিএম (CPIM) ও বিজেপির (BJP) তিন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাল্টা অভিযোগ তুললেন জেলবন্দি পার্থ।
এদিন তিনি নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), বিজেপির সর্ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীকে (Sujan Chakraborty)। সংবাদমাধ্যমের সামনে পার্থর এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। Partha Chatterjee

পার্থ এদিন বলেন, “আজকে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী বড় বড় কথা বলছেন। তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০ সালে উত্তরবঙ্গে কী করেছিলেন জানতে সেই সময়কার সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। ২০১১-১২ সালে আমার কাছে তদ্বির করা হয়েছিল। আমি পরিষ্কার বলেছিলাম, আমি নিয়োগ কর্তা নই। কোনও নিয়োগ আমি বেআইনিভাবে করতে পারব না।” সুনির্দিষ্টভাবে শুভেন্দুকে নিশানা করে পার্থ বলেন, “শুভেন্দু কী করেছিলেন? সেই সময়কার ডিপিএসসিটা একবার দেখুন না!”

ডিপিএসসি অর্থাৎ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এদিন কোনও নির্দিষ্ট জেলার নাম না নিলেও রাজনৈতিক মহলের মত, পার্থ আদতে পূর্ব মেদিনীপুরকেই ইঙ্গিত করেছেন।
পার্থর পাল্টা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “২০০৯-১০ সালে কী হয়েছিল তা হঠাৎ পার্থবাবুর এখন মনে পড়ল? এতদিন মন্ত্রী থাকার সময়ে টনক নড়েনি? ‘চাইলে তদন্ত করুক না সিবিআই, ইডি। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *