আজ খবর ডেস্ক:
Rahul Gandhi নয়াদিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনে সরকারি বাংলোতে থাকেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তাঁর নিরাপত্তায় বাংলোতে বিশেষ প্রহরার বন্দোবস্তও রয়েছে। সেই বাড়িই এবার ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

লোকসভা হাউসিং কমিটির নোটিসের জবাবে, সরকারি নির্দেশ মেনে নেবেন বলে লোকসভার সচিবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। তুঘলক লেনের এই বাংলোতে অনেক ‘সুখস্মৃতি’ রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেতা। Rahul Gandhi

প্রসঙ্গত লোকসভা হাউসিং কমিটির তরফে সরকারি বাংলো (Government Bunglow) ছাড়ার নোটিস পাওয়ার কথা রাহুল আগেই স্বীকার করেছিলেন। মঙ্গলবার তিনি পাল্টা চিঠি দেন লোকসভার সচিবকে। সেখানে রাহুল লিখেছেন, “জনাদেশে আমি চার বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে আমার এখানে অনেক সুখস্মৃতি রয়েছে। তবে আমি আমার অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করেই চিঠিতে দেওয়া নির্দেশ অবশ্যই মেনে নেব।”

সুরাটের আদালত রাহুলকে ফৌজদারী মানহানির (Criminal Defamation) মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর তড়িঘড়ি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছিল লোকসভার সচিবালয়। তারপরে সোমবার রাহুলকে চিঠি দিয়ে লোকসভার হাউজিং কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সরকারি বাংলো ও ছাড়তে হবে তাঁকে।

অতীতে বারবার দেখা গিয়েছে, সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরেও অনেকেই সরকারি বাংলো ছাড়তে নানা টালবাহানা করেন। প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিং থেকে একাধিক বিজেপি নেতার নাম রয়েছে এই তালিকায়। এমনকী সংসদ পদ না থাকা সত্ত্বেও, বিজেপি (BJP) করার সুবাদে দীর্ঘদিন দিল্লির সাউথ এভিনিউর বাংলো আটকে রেখেছিলেন মুকুল রায়ও।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মত, তাড়াহুড়ো করে রাহুলকে এহেন চিঠি পাঠানোয় বরং আমজনতার সহানুভূতি থাকবে কংগ্রেস নেতার সঙ্গেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এহেন আচরণকে অনেকেই “রাজনৈতিক প্রতিশোধস্পৃহা” বলছে।


এক ধাপ এগিয়ে বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, রাজনৈতিক সৌজন্য বলে একটা বস্তু থাকে। প্রশ্ন উঠেছে, রাহুলের “ভারত জোড়ো” (Bharat Jodo Yatra) যাত্রার সাফল্যই কি গেরুয়া শিবিরকে এই আচরণে বাধ্য করল?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *