আজ খবর ডেস্ক:
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। এদিকে সামনেই শুরু হচ্ছে আইপিএল (IPL)। এর মধ্যে হঠাৎ নিজের খুব ব্যক্তিগত কিছু কথা প্রকাশ করলেন। Shikhar Dhawan
কী এমন হয়েছিল যে মাত্র ১৬ বছর বয়সে এইচআইভি (HIV) পরীক্ষা দিতে ছুটেছিলেন শিখর? তাঁর স্কুল ফাইনাল পরীক্ষার আগেই ঘটেছিল এই ঘটনা ! আইপিএল শুরুর পাঁচ দিন আগে জীবনের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। সকলকে লুকিয়ে কী করেছিলেন তিনি?
বিষয়টি জানার পর থেকেই কিন্তু হাসির রোল উঠেছে শিখর অনুরাগীদের মধ্যে। আসলে বাবা-মাকে লুকিয়ে, পকেট মানি দিয়ে মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন ধাওয়ান। মনের আনন্দে শখ মেটালেও পরে এইডসের (AIDS) আতঙ্কে ভুগতে হয়েছিল কিশোর বয়সেই।
সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গোপন তথ্য জানিয়েছেন নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘তখন আমার বয়স ১৪ বা ১৫। বাড়িতে না বলে মানালি গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পিঠে একটা ট্যাটু (Tattoo) করাই। সেটা বাবা-মার কাছে প্রায় তিন-চার মাস লুকিয়ে রেখেছিলাম। বাবা জানার পর খুব মেরেছিল। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তখন অত বুঝতাম না। যে সুচ দিয়ে আমাকে ট্যাটু করে দেওয়া হয়েছিল, সেটা আরও কত জনের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল জানতাম না।” যদি এডস হয়, এই ভয়ে এইচআইভি পরীক্ষা করাতে ছুটেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শিখর জানিয়েছেন, “পরীক্ষার ফল কিন্তু নেগেটিভ হয়েছিল।’’
পরে অবশ্য ধাওয়ান বেশ কিছু ট্যাটু করিয়েছেন নিজের শরীরে। সাক্ষাৎকারে প্রতিটি ট্যাটুর মানেও বলেছেন তিনি। ধাওয়ান জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম ট্যাটুটা করাই পিঠে। সেটা একটা কাঁকড়া বিছের ছবি। তখন ওটাই পছন্দ হয়েছিল। পরে ওটার ওপর আরও নকশা করিয়েছি। দ্বিতীয় ট্যাটু করাই হাতে। সেটা শিবের ছবি। আরও একটা ট্যাটু আছে। সেটা অর্জুনের।”
আপাতত লক্ষ্য আইপিএলে নিজের সেরাটা দেওয়া। পঞ্জাবকে প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতে চান অধিনায়ক হিসাবে। এসবের মাঝেই নিজের ছোটবেলার কীর্তি ফাঁস করেছেন ধাওয়ান।