আজ খবর ডেস্ক:
Fuchka আলু আর মটর সেদ্ধ, ভাজা মশলা, গন্ধলেবু, পছন্দমত কাঁচা লঙ্কা আর নুন, তেঁতুল জল! ব্যাস, এতেই চলে আসে সেই স্বর্গীয় স্বাদ। যার জন্য পাগল ৮ থেকে ৮০। কলকাতার মাস্টারপিস ফুচকা (Fuchka) এভাবেই শাল পাতায় করে পৌঁছে যায় আমার, আপনার হাতে। Fuchka


যদিও সময়ের দাবি মেনে রেসিপিতে বদল এসেছে। দই ফুচকা চিকেন ফুচকা থেকে শুরু করে চকলেট ফুচকা, সবই মিলছে শহরের রাস্তায়। এমনকী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ফুচকার নানার নাম। কোথাও গোলগাপ্পা (Golgappa), কোথাও পানিপুরি (Panipuri)।

যদিও এতদিন স্যান্ডউইচ বা কাবাবের তুলনায় কিঞ্চিৎ নিচু নজরে দেখা হতো ফুচকাকে। একে তো স্ট্রিট ফুড তায় আবার দাম একটু কম। কিন্তু ফুচকা খেলে যে শরীর থেকে উধাও হবে একাধিক রোগ জানেন কি?
শরীর ভাল রাখতে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন খেতেই পারেন ফুচকা, আর অবশ্যই সেই টক জল। কেন খাবেন ফুচকা?

১) হজমের গোলমালে ভোগেন? ঘনঘন অম্বলের আশঙ্কা থাকলে আপনার সহায় হতে পারে ফুচকার টক জল।
কারণ এতে তেঁতুল ছাড়াও রয়েছে ধনেপাতা, বিট নুন, ধনেগুঁড়ো, লঙ্কা আর লেবু। এই জল হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

২) মেদ জমেছে পেটে আর কোমরে? আপনার মেদ ঝরানোর হাতিয়ার হতে পারে ফুচকা! ফুচকার জলে থাকা লেবু বা তেঁতুল শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

৩) ঘন-ঘন সর্দি-কাশি জ্বরে ভোগেন? ব্যাকিটিরিয়া জনিত সমস্যার হাত থেকেও নিস্তার মিলবে ফুচকা খেলে।
ফুচকার জলে যে তেঁতুল ব্যবহার করা হয়, তার বীজে রয়েছে এমন উপাদান যা ব্যাকিটিরিয়াকে প্রতিহত করতে পারে।

তবে একটি সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটা জিনিসও। ডায়াবেটিস থাকলে আলু ছাড়া ফুচকা খেতে হবে। প্রয়োজনে খান দই ফুচকা। যদিও পুষ্টিবিদদের অনেকেই বলেন সেদ্ধ আলুতে ততটাও ক্ষতি নেই।
বাইরে বানানো ফুচকাতে কী জল ব্যবহার করা হচ্ছে, অথবা যিনি বানাচ্ছেন তাঁর হাত পরিষ্কার কিনা এসব ভাবনা থাকেই। সেক্ষেত্রে এইসব উপকরণ দিয়ে ঘরেই তৈরি করে ফেলুন ফুচকা আর টক জল। মিলবে সমান উপকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *