আজ খবর ডেস্ক- ভারতীয় হলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ানো যেত, এমনটাই জানা যেত এতদিন। কিন্তু কখনও শুনেছেন কি ভারতীয় হয়েও আপনি যেতে পারবেন না পৃথিবীর এই জায়গাগুলিতে। অত্যাধিক নিরাপত্তা এবং বেশ কিছু বিতর্কিত কারণের জন্য একজন ভারতীয় নাগরিক হয়েও দেশের এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে যাওয়ার অনুমতি নেই। ভারতবর্ষের এমনই কিছু সুন্দর জায়গা আছে, যেখানে অত্যাধিক নিরাপত্তা এবং আভ্যন্তরীণ কিছু কারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

প্যাংগং তসো- লাদাখের একটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা এটি। মূলত প্যাংগং তসো একটি হ্রদ দ্বারা বেষ্টিত পর্যটন কেন্দ্র। তবে এই অঞ্চলের পুরো অংশ একজন ভারতীয় নাগরিক সহজে ভ্রমণ করতে পারেন না। তার কারণ, এই হর্দের প্রায় ৫০ শতাংশ অঞ্চল ভারতের সীমানা এবং বাকি অংশ চীনের সীমানায় পড়ার জন্য কেবলমাত্র ভারতের অংশটুকুতে একজন ভারতীয় ঘুরতে পারেন সহজেই।

ব্যারেন দ্বীপ- ব্যারেন দ্বীপ এর কথা আমরা অনেকেই জানি। ভারতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র এই ব্যারেন দ্বীপ। তবে এক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আছে। এই ব্যারেন দ্বীপ আন্দামান সাগরে সক্রিয় টেকটনিক প্লেটের উপর অবস্থিত। এই দ্বীপের মধ্যে ভারতবর্ষের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি উপস্থিত। ফলে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এই ব্যারন দ্বীপ সাধারণ পর্যটকদের জন্য নয়। তবে দ্বীপের চারপাশে স্কুবা ডাইভিং এর অনুমতি পাওয়া যায়।

লাক্ষাদ্বীপের সংলগ্ন দ্বীপ- অগতি, বাঙ্গারাম , কাভারতী , মিনিকয়, কদমত ইত্যাদি বিভিন্ন দ্বীপ মিলিয়ে প্রায় ৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। তবে এতগুলি দ্বীপ থাকলেও সাধারণ পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি নেই। শুধুমাত্র একটি মাত্র দ্বীপ সাধারণ পর্যটকদের জন্য খোলা রাখা হয় এই স্থান।

বিএআরসি- ভারতের প্রধান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের ট্রমবেতে রয়েছে এটি। সাধারণ ভাবে নিরাপত্তার কারণে জন্য ভারতীয় নাগরিকদের এখানে প্রবেশ নিষেধ।

উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ- আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে এই উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ। এই দ্বীপটি আন্দামান সাগরে টেকটনিক প্লেট এর মাঝখানে অবস্থিত । এই দ্বীপে অবস্থান করে কিছু বিশেষ ধরনের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। চাষাবাদ থেকে আরম্ভ করে আগুনের ব্যবহার এমনকি সভ্য সমাজের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক তাদের মধ্যে নেই । এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জন সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দা বহিরাগতদের ওপর আক্রমণাত্মক মনোভাবের জন্য এরা বিশেষভাবে পরিচিত। এই কারণেই জন সাধারণদের জন্যে নিষিদ্ধ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *