আজ খবর ডেস্ক- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন সম্পদ। তাদের মধ্যে অনেককিছুই এসেছে জিআই মার্কের আওতায়। এবার সেই সম্মান পাওয়ার লক্ষ্যে কোচবিহারের শীতলপাটি।

আর পাঁচটা পরিচিত জিনিসের সঙ্গে কোচবিহারের শীতলপাটি থাক, সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের মরসুম শেষ হলে, বিশ্বের দরবারে কোচবিহারের এই সম্পদকে তুলে ধরার জন্য আবেদন জানানো হবে।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের তরফ থেকে এই আবেদন জানানো হবে। এমনিতেই শীতলপাটি দুই বাংলার পরিচিতি। বাংলাদেশে যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি করা হয় এই শীতলপাটি। তবে খাদি গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ, কোচবিহারের শীতলপাটিকে জিআই তকমা দেওয়ার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে খবর।

শীতলপাটি বানানোর কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার কারিগর। প্রতি বছর এই এলাকা থেকে শীতলপাটি রপ্তানি হওয়া সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কমবেশি কোটি টাকার কাছে ব্যবসা হয় শীতলপাটি রপ্তানি করে। কর্তৃপক্ষদের অনেকেই মনে করছেন, শীতলপাটির মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মাদুর ছাড়াও হাতের ব্যাগ, বসার আসন ইত্যাদি তৈরি হয় শীতলপাটি দিয়ে। পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন রূপ ধরা পড়ে এই হস্তশিল্পের মধ্যে দিয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর গুরুত্ব অনেক।

শুধু জিআই পাওয়াই লক্ষ্য নয় বরং এই শিল্পের সঙ্গে যেন আরও বেশী মাত্রায় মানুষ জড়িত হতে পারেন সেই চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। শীতলপাটির আবির্ভাব কোচবিহারে, ফলে শীতলপাটিকে যদি জিআই তকমা এনে দেওয়া যায় তবে লোকমুখে আরও প্রচার পাবে এই হস্তশিল্প। পাশাপাশি, শীতলপাটিকে নিয়ে আরও ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।

গবেষক দিব্যেন্দু বিকাশ দত্ত, কোচবিহার এলাকায় ঘুরে কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নথি একত্র করছেন। সীতাভোগ মিহিদানা, রসগোল্লার মত কোচবিহারের শীতলপাটি জি আই স্বীকৃতি পাবে বলে আশাবাদী তিনি। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রচেষ্টায় আগামী দিনে আরও অনেক ধরনের ছোটখাটো সম্পদ তুলে আনা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় দপ্তরের পক্ষ থেকে। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশাবাদী সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *