আজ খবর ডেস্ক- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে কিন্তু তা সত্বেও রোগীকে ভর্তি নেননি হাসপাতাল। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যত্র। এই সমস্যা বিশেষ ভাবে দেখা গিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। তবে সেই বিষয়ে এক ধাপ এগিয়ে নতুন নিয়ম আনল রাজ্য সরকার।
চোখের ছানি বা সন্তান প্রসব ছাড়া কোনও মূল্যেই রোগীকে ফেরাতে পারবে না কোনও বেসরকারি হাসপাতাল। যদি কোনও রোগীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকে, তবে আগে সেই রোগীকে ভর্তি নিয়ে নিতে হবে হাসপাতালকে। এরপর রোগীর তরফ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখালেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে তার আওতায়। এমনকি রোগী ভর্তি থাকা কালীন পরে কার্ড বানিয়ে নিয়ে এলেও, সেই সুবিধে দিতে হবে হাসপাতালগুলোকে।
অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ দেখা দিয়েছে, যেখানে আঙুলের ছাপ মিলছে না। রোগীর আঙুলের সঙ্গে ছাপ না মেলায় কার্ড সহ পত্রপাঠ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। রোগীকে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে একাধিক হাসপাতাল। জরুরি অবস্থায় এ ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর। তাই এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই নতুন নিয়ম কার্যকর করল রাজ্য সরকার। আগেও কলকাতার বেশ কিছু হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে, তারা কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যদি কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সম্পর্কে বা তার সুবিধে সম্পর্কে যথাযথ অবগত না হয়, সেক্ষেত্রে তারা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে পারেন। পাশাপাশি, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিচ্ছেন না, কারণ দেখাচ্ছেন স্বল্প খরচে কোনও বিশেষ চিকিৎসা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে তারা কথা বলতে পারেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একাধিক ক্ষেত্রে উন্নতি করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, তাই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প যেন কোনও অংশেই পিছিয়ে না থাকে সেই বিষয়েও নজরদারি শুরু করা হল এবার।