আজ খবর ডেস্ক : করোনা আবহে রাজ্য জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। অনলাইন ক্লাসে পড়াশোনার মান কমছে বলে দাবি করেছিলেন শিক্ষক মহলের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও যথেষ্ট চিন্তা বাড়ছিল। অনেক অভিভাবকই দাবি করেছিলেন যে , অনলাইন ক্লাসে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে পড়ুয়ারা। শেষমেশ এই বিষয় স্বস্তির বার্তা দিল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, পুজোর ছুটি কাটলেই আগামী ১৬ ই নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য খোলা হবে স্কুল। সাথেই জানানো হয়েছে পরিস্থিতি বুঝে আগামী দিনে নীচু ক্লাস গুলির জন্য স্কুল খোলা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করবে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন পুজোর পরেই রাজ্যে অফলাইনে পঠন-পাঠন শুরু করার বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে রাজ্যে খোলা হচ্ছে স্কুল। আর সরকারের এই ঘোষণার পর থেকেই পড়ুয়াদের নজর পড়েছে, বড়ো পরীক্ষাগুলি নিয়ে।কিছুদিন আগেই পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে নবান্নের তরফ থেকে সবুজ সংকেত দিলেই আগামী দিনে অফলাইন পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হবে। তাই এই মুহূর্তে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পর্ষদ ও সংসদ।মার্চের শুরুতে মাধ্যমিক ও এপ্রিলের শুরুতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। আর এপ্রিলের শেষে জয়েন্ট এন্ট্রান্স। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য রুটিনও পাঠানো হয়েছে নবান্নে। জানা যাচ্ছে, সরকারের সম্মতি মিললেই কালীপুজোর আগেই নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। টেস্ট পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়া হয়েছে স্কুলের ওপর।