আজ খবর ডেস্ক- আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মর্মেই আগেভাগেই বকেয়া সব কাজ সারার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের তরফে স্কুলগুলিকে।

এদিন রাজ্যের সব জেলাশাসককে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় নবান্নের তরফে। একটি দীর্ঘ সময়ের পরে ফের খুলছে স্কুল, তাই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের তরফে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে এ ডি এম বা এক বিশেষ আধিকারিককে নিয়োগ করতে হবে, যিনি দায়িত্বে থাকবেন সব স্কুলগুলি ঠিকমতো নির্দেশিকা পালন করছে নাকি দেখার জন্যে। মূলত, কোভিড বিধি এবং নিয়মকানুন মেনে স্কুল খোলার আয়োজন হচ্ছে নাকি বা ছাত্রছাত্রীরা যেন সে নিয়ম মানতে পারে সেই দিকেই দেখবেন এই আধিকারিক। বলাবাহুল্য, এত দিন পর স্কুল খুললে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন ধরনের নতুন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে স্কুলে।

নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুল বা কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি, ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে পরিষ্কার পরিছন্নতা এবং স্যানিটাইজেশন করে ফেলতে হবে স্কুলগুলিকে। রাজ্যের তরফে, ড. এ এন বিশ্বাসকে নোডাল অফিসার বা রাজ্যস্তরের আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

এখনও অবধি, শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন আলোচনা চলছে পঠন-পাঠন কোভিড বিধি মেনে শুরু করার জন্য। আগে নিয়ম করা হয়েছিল প্রতি বেঞ্চে দু’জন করে ছাত্র বা ছাত্রী বসবেন। সেই নিয়ম বদলাতে পারে, প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে ছাত্র-ছাত্রী বসতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা বন্ধ থাকবে স্কুল খুললে।
যেমন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খাবার নিয়ে আসতে হবে বাড়ি থেকে, কেনা খাবার খাওয়া চলবে না স্কুলে। পাশাপাশি জাঙ্কফুড খেতেও বারণ করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। কোনও ছাত্রী স্কুলে গয়না পরে আসতে পারবেন না। স্কুলের প্রেক্ষাগৃহ, ল্যাবরেটরি, হস্টেল ইত্যাদি জায়গায় দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে তাঁদের।

আপাতত মিড ডে মিলের ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। যাতে কোনও ভাবে হুড়োহুড়ি না হয়, সেই জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন স্কুলে অন্ততপক্ষে একঘন্টা আগে আসেন। প্রথম দশ মিনিট সংক্রমণ যাতে না হয় সেই সম্বন্ধে সচেতন করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। পাশাপাশি বিভিন্ন গাইডলাইন থাকছে অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যেও। এতদিন পর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, তার জন্য যথেষ্ট রকম তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সরকারের তরফে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *