আজ খবর ডেস্ক- রাজস্থানের এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা যিনি ভারত পাকিস্তান টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তান জয়ের পরই হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাঁকে স্কুলের শিক্ষিকার পদ থেকে বহিষ্কার করা হল স্কুলের তরফে।
নীরজা মোদি স্কুলে কর্মরত নাফিসা আটারি নামে ওই শিক্ষিকা পাকিস্তান জেতার পর নিজের হোয়াটস অ্যাপ থেকে একটি বার্তা দেন। যেখানে তিনি লেখেন, জিত গায়ে, উই ওন। এই স্ট্যাটাসটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে। এরপরই এই স্ট্যাটাস নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
রাজস্থানের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকাকে এদিন বহিষ্কার করা হয় স্কুলের তরফে। স্কুলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সজতিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নীরজাকে স্কুলের শিক্ষিকার পদ থেকে বহিষ্কার করা হল।
ওই শিক্ষিকাকে তাঁর একাধিক ছাত্রছাত্রীরা জিজ্ঞেস করেন তিনি পাকিস্তানের সমর্থক নাকি। এর উত্তরে তিনি জানান, তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন করেন। তাঁর মন্তব্যের জন্য গোটা দেশে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড় পড়ে যায়। এরপর এই সিদ্ধান্ত নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পরই তিনি বলেন ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি এই কাজ করেননি, কারুর ভাবাবেগে ধাক্কা লেগেছে জেনে তিনি এই পোস্ট মুছে দেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, তাঁর পোস্ট কোনও ভাবেই বোঝায় না তিনি পাকিস্তানের সমর্থক।
প্রসঙ্গত, নাফিসা একা নন, কাশ্মীরের দুই ছাত্রাবাসে থাকা একাধিক ছাত্র-ছাত্রী পাকিস্তান জেতার পর পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত গেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি অভিযোগ, তাঁরা বাজি ফাটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউ এ পি এ আইন প্রয়োগ করে এফ আই আর দায়ের করা হয় ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায়। এছাড়াও ভবিষ্যতে তাঁরা সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন এও জানানো হয় সরকারের তরফে। এরা সকলেই ছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়া।
একদিকে যখন কাশ্মীরের এই ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে, অন্যদিকে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মনে করছেন একাংশ।