আজ খবর ডেস্ক- একের পর এক উন্নতির সাক্ষর দিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। কখনও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য তো কখনও স্বপ্ন দেখছে বুলেটের। আর এবার স্বল্প খরচে এ সি থ্রি টিয়ারের সুবিধা নিয়ে এগিয়ে এল তারা। দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনাস থেকে পাটনা পর্যন্ত ছুটবে গতিশক্তি এক্সপ্রেস। দীপাবলী এবং ছট পুজোর বাড়তি ভিড় সামাল দিতেই চলবে এই বিশেষ ট্রেন। এমনটাই রেল সূত্রে খবর।
রেলের তরফে জোর দেওয়া হচ্ছিল এসি ইকোনমি থ্রি টিয়ার কোচ তৈরিতে। এবার তা এল এই বিশেষ ট্রেনে। ২৯, ৩১, ২, ৫ এবং ৭ নভেম্বর এই ট্রেন ছুটবে পাটনার উদ্দ্যেশে। রাত ১১:১০ এ ছেড়ে পরেরদিন দুপুর ৩:৪৫ এ পৌঁছবে পাটনা।
প্রসঙ্গত, রেলের তরফে স্বল্প খরচে যাত্রীদের এসি-র সুবিধে দেওয়ার জন্য ‘গরীব রথ’ এক্সপ্রেসের সূচনা করেছিল রেল। তবে খুব বেশি লাভের মুখ দেখেনি এই গাড়িগুলো। তাই বেশ কিছু রুট থেকে ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হয় এই ট্রেনটি। এবার ফের এই ইকোনমি ক্লাস নিয়ে আসা হল রেলের তরফে।
অন্যদিকে, নভেম্বরের ৩০, ১, ৩, ৬, ৮ তারিখ পাটনা থেকে ৫:৪৫ এ ছেড়ে এই ট্রেন দিল্লির আনন্দ বিহার পৌঁছবে সকাল ৯:৫০ মিনিটে। আপ অভিমুখে ০১২৬৮ এবং ডাউন অভিমুখে ০১২৬৯ নম্বরে চলবে গতি শক্তি এক্সপ্রেস। মাঝে কানপুর, প্রয়াগরাজ, দিন দয়াল উপাধ্যায় এবং দানাপুর কে স্টপেজ হিসেবে বেছে নিয়েছে রেল।
একাধিক সুযোগ সুবিধা থাকছে এই কোচগুলোতে। বর্তমানে যে সকল থ্রি টিয়ার কোচ আছে তার তুলনায় এগারোটি বেশি বার্থ থাকছে এই কোচে। অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি এই কোচে থাকছে উজ্জ্বল সিট নম্বর, যা সহজেই অন্ধকারে দেখতে পাবেন যাত্রীরা। পাশাপাশি, অগ্নিরোধী বস্তু দিয়ে তৈরি এর দেওয়াল, সিট ইত্যাদি। এবং আরাম দায়ক সফরের জন্যে অত্যাধুনিক শকার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে এই কোচগুলিতে থাকছে উপরের বার্থে ওঠার জন্য ছোট আকারের সিঁড়ি এবং প্রতিটি যাত্রীর জন্য সিটের সংলগ্ন একটি করে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট।
রেলের তরফে লিংক হফম্যান বাস পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে কোচগুলোকে, যার জন্য এই কোচগুলি ১৬০ কিমি/ঘণ্টায় ছুটতে সক্ষম। বিমানের মত প্যাসেজে রেডিয়াম মার্ক করা হয়েছে, যে কারণে যাত্রীরা সহজেই অন্ধকারে হেঁটে যেতে পারবেন কোচের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা।
বর্তমানে, প্রয়াগরাজ – উধমপুর এবং প্রয়াগরাজ- জয়পুর রুটের দুটি ট্রেনে এই কোচগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে রেলের তরফে। আগামীদিনে অন্যান্য ট্রেনে এই কোচ সংযুক্ত করে আরও বেশি পরিমাণে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশাবাদী রেল।