আজ খবর ডেস্ক- দশ দিন ধরে অনশনে বসেছেন এক ছাত্রী, তাঁর দাবি তিনি দ্বিতীয় রোহিত ভেমুলা হবেন না। অন্যদিকে রক্তাল্পতায় ভোগা দীপা শুধু জল খেয়ে বেঁচে রয়েছেন গত ২৯ অক্টোবর থেকে। তাঁর দাবি কিছুতেই তাঁরা অনশন ছেড়ে উঠবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করেন দীপা। ন্যানো সাইন্স এবং ন্যানো টেকনোলজির উপর পিএইচডি তে ভর্তি হন ২০১৪ সালে। এমফিলের পরে পিএইচডি করার সময় বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তাঁকে। বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় দীপাকে। তবে তাঁর অভিযোগ কিছুদিন যাবৎ তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। এমনকি অনেক জায়গায় তাঁকে বসতে দেওয়াও হচ্ছিল না।
অনশন চলা কালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে দলিত বিরোধী মনোভাবকে দূরে ঠেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। আগেও দলিত বিরোধী বিরোধী আন্দোলন দেখা গিয়েছে দেশের মাটিতে। তবে ন্যায্য অধিকার এবং শিক্ষার অধিকারের জন্য ক্রমাগতই লড়ে চলেছেন দীপা।
এই ঘটনার জন্য তিনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাবু থমাস এবং তাঁর গাইড কলারিক্কাল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যদি তাঁর কিছু হয়ে যায়, সেই জন্যে দায়ী থাকবেন এই দুই ব্যক্তি। যদিও দীপার সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কলারিক্কাল। কেরালার শিক্ষা মন্ত্রী বিন্দু জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরণের জন্য তাঁর গাইডকে বরখাস্ত করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যদি দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ বিশ্ববিদ্যালের না করে, তবে সরকারি হস্তক্ষেপ করা হবে তাঁর জন্য।
২০১৫ সালে দীপা তাঁর গাইডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলে তাঁর অভিযোগ। প্রসঙ্গত, হায়দ্রাবাদে এক গবেষক দলিত ছাত্র এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অস্বস্তির মুখে পড়েন এবং পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনাকে উস্কে দিয়ে দীপা বলেন, এখানে দ্বিতীয় কোনও এমন ঘটনা ঘটুক কেউ চান না।