আজ খবর ডেস্ক : গত শনিবার থেকে একনাগাড়ে প্রবল বর্ষণের জেরে বানভাসি তামিলনাড়ু। চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম এবং চেঙ্গালপাট্টু সহ একাধিক জেলায় জল জমে বন্যার আশঙ্কা তৈরি করছে। গোটা রাজ্য জুড়ে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আগামী ১১ ও ১২ তারিখ রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্তালিন ইতিমধ্যেই দু’দিনের জন্য সেখানকার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানান হয়েছে,বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হাওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরেই শুরু হয়েছে এই দুর্যোগ।শনিবার রাতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয় চেন্নাইতে। ২০১৫ সালের পর এমনবার এত বৃষ্টির সাক্ষী থাকল এই দক্ষিণী শহর। শুক্রবার রাত ৮.৩০ থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলতে থেকে। ফলে নিচু এলাকাগুলিতে জল জমতে শুরু করে। একসময় পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে, বেসরকারি অফিসের কর্মীদের সরকারি তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়, যে তাঁরা যেন বাড়িতে থেকেই কাজ করেন। তেমন হলে, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ছুটি ঘোষণা করার অনুরোধ জানান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সেখানকার রেল পরিষেবাও।
চেন্নাই , ভেলোর, নাগাপট্টিনাম, কারাইকাল সহ তামিলনাড়ুর ১৪ টি জেলায় আগামী তিন দিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে গিয়ে দুর্গতদের ত্রাণ ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ও তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরানোর জন্য ডিএমকে সাংসদ, বিধায়ক ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার নির্দেশও দিয়েছেন স্তালিন ৷ পাশাপাশি আজ তিনি নিজেও রোয়াপুরাম ও হার্বার এলাকায় ত্রাণ বিলির কাজ শুরু করেন। এছাড়া সেখানকার সরকারি তরফে জানান হয়েছে, এই মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪ টি দলকে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।