আজ খবর ডেস্ক : মধ্যপ্রদেশের এক হাসপাতালের শিশুবিভাগে আগুন লেগে মৃত্যু হল চার শিশুর। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালের শিশুদের আইসিইউ (পিআইসিইউ) বিভাগে আগুন হঠাৎই আগুন লেগে যায়। আর সেই সময় শিশু বিভাগে অন্তত ৫০ জন শিশু ভর্তি ছিল। আচমকা আগুন লাগার খবরে পেতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিশুদের পরিবার পরিজনেরা। খবর পাওয়া মাত্রই ২৫টি অগ্নিনির্বাপন ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় শেষমেশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে তার আগেই ঘটনাচক্রে মৃত্যু হয় চার শিশুর।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নিজেই টুইট করে ঘটনার কথা জানান। শিশু মৃত্যুর খবর জানাতে গিয়ে তিনি টুইটারে লেখেন, ‘হাসপাতালের শিশুবিভাগে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা গিয়েছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও এসেছে। কিন্তু তিনটি শিশু যারা আগেই গুরুতর অসুস্থ ছিল, তাদের আর বাঁচানো যায়নি।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইটের কিছুক্ষণ পরই মৃতের সংখ্যা সংখ্যা আর ১ জন বেড়ে যায়।হাসপাতালে উদ্ধারকাজ চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারং। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার সময় ওই বিভাগে ৪০টি শিশু ছিল। তার মধ্যে ৩৬ জন আপাতত সুরক্ষিত। মৃত শিশুর পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে এককালীন অর্থসাহায্য করবে সরকার।’’
হাসপাতালের শিশু বিভাগে কি ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। যদিও প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে। ভোপাল পুরসভার অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের আধিকারিক রামেশ্বর নীল বলেন, ‘‘খুব সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে তা হাসপাতালের ইলেকট্রিকের তারে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। ধোঁওয়ায় ঢেকে যায় গোটা ফ্লোর।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮টা বেজে ৪০ নাগাদ হাসপাতালের এক কর্মী রত্নেশ প্রথম ঘটনাটি দেখতে পান। তারপর তিনি তড়িঘড়ি খবর দেন কন্ট্রোল রুমে। তারপর তিনটি দমকল স্টেশন থেকে অগ্নিনির্বাপণের ২৫টি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে রাত ১২টা বেজে যায়। তবে ততক্ষণে সেই অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল।রাতে শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শিবরাজ টুইটারে লেখেন, ‘শিশুদের অকাল মৃত্যু সব সময়েই বেদনাদায়ক। ইশ্বরের কাছে ওদের আত্মার শান্তি কামনা করি। এই শিশুদের পরিবার পরিজনের প্রতিও আমার সমবেদনা। যারা এই ঘটনায় জখম হয়েছেন, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’