আজ খবর ডেস্ক- নোট বন্দীর পাঁচ বছর পূর্ণ হল। কথা ছিল কালো টাকা সরে যাবে ভারত থেকে। তবে সেই দিক থেকে কিছুই হয়নি, বরং বিপুল পরিমাণে ধনী হয়ে উঠেছেন কিছু ধনী শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। জাতীয় স্তরে অবশ্য কিছুটা সেইরকমই মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো।
এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এই নোট বন্দীর জন্যে পেটে লাথি পড়েছে গরিব ও মধ্যবিত্তের। আত্মহত্যা করেছেন বহু চাষী। ফিরে আসার কথা ছিল সাদা টাকা, কিন্তু আদতে তা হয়নি। সার্বিকভাবে ক্ষতিই হয়েছে এক প্রকার বলা যেতে পারে বলে মনে মনে করছেন একাংশ। এখানেই শেষ নয়, বরং রাত জেগে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল ব্যাঙ্কের বাইরে। পুরনো পাঁচশো এবং হাজার টাকা বদলানোর জন্যে। এর ফলে রোদের তাঁপে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারান অনেকে। তবে সবই বৃথা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
সমাজবাদীপার্টির সঞ্জয় গর্গ বলেন, বিজেপির অন্যান্য ভুল পদক্ষেপের মতন এই ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেন, একমুখী রাজ চালাচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, তুঘলকি রাজ চালাচ্ছে বিজেপি। সব শ্রেণীর মানুষকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বিজেপির এই মনোভাবের জন্যে প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন তিনি, যদি যথাযথভাবে চাকরির ব্যাপারে মনোযোগ দিতে পারতো উত্তর প্রদেশ সরকার, তাহলে দুই কোটির উপরে কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হতো।
সব মিলিয়ে তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, সর্বভারতীয় একাধিক রাজনৈতিক দলগুলো কার্যত আক্রমণ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপির দিকে। সব দলের দাবি নোট বন্দী করার পরে দেশ পিছিয়ে গিয়েছে অনেকটাই, বরং এগোয়নি কিছুই।