আজ খবর ডেস্ক- ঘর সামলাতে বৈঠকে বিজেপি। দলের অন্দরে যেন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এরপর কে? নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপি শিবিরে ভাঙন অব্যাহত।বিধানসভায় বিজেপির তরফ থেকে একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠক ডাকা হয় এদিন। দলের সব বিধায়কদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ মুখ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে, এদিনই দল ছাড়লেন কৃষ্ণকল্যাণী। দেবশ্রী চৌধুরীকেই নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দেবশ্রীর সঙ্গে একই দলে তিনি থাকতে পারবেন না। পাল্টা বিজেপির দাবি, দল বিরোধী বক্তব্যের জন্য “শো কজ” করা হয়েছে তাঁকে।


৭৭ থেকে বিধায়ক সংখ্যা এখন ৭০ এসে ঠেকেছে। এভাবে চলতে থাকলে যে দ্রুত বিজেপি শিবিরে আরও বড় ক্ষতি হবে তা কার্যত বুঝতে পারছেন দলের অনেকেই।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপিতে শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্রের সঙ্গে আপস করা হয় না। বিধায়ক সংখ্যা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কৃষ্ণনগরে টেস্ট কেস দেখুন, ওখানে পদ্মফুল জিতবে।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “সমস্যা দলের অভ্যন্তরে বলুন, এটা কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়”।

ঘর সামলাতে বৈঠকে বিজেপি। দলের অন্দরে যেন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এরপর কে? নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপি শিবিরে ভাঙন অব্যাহত।


অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ব্যাক্তিগত ভাবে তাঁকে অনেকেই জানিয়েছেন যে বেশ কিছু কর্মী দল ছাড়তে চান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যাঁরা দল ছেড়ে চলে গেছেন তাঁদের অনুরোধ করব পারলে দলে ফিরে আসুন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে।”


এর আগে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। এছাড়াও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ দল বদলে ঘাসফুল শিবিরে আসেন। পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি বলেন, “যাঁরা চলে যাচ্ছেন তাঁরা নিজেরা এই কথা প্রকাশ্যে আনতে না চাইলে দলও কিছু বলবে না, দলে নতুন করে ভাঙন নেই”। দলের অভ্যন্তরীণ কথা বাইরে বলতে রাজি নন সুকান্ত।

সামনেই আরও ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শিবিরই পুজোর আগে প্রার্থী ঘোষণা করবে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপির আরও উইকেট পড়বে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *