আজ খবর ডেস্ক- শ্রীকেশ কুমার নামের এক ইলেকট্রিশিয়ান বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছন। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পর ওই ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে মর্গে রেখে দেওয়া হয়। পেশায় মোরাদাবাদ পুরসভার কর্মী তিনি।

এইভাবে কেটে যায় সাত ঘন্টা, এরপর পাঁচনামা সই করার জন্য শ্রীকেশের বাড়ির আত্মীয়দের ডেকে পাঠানো হয় মর্গে। ওই কাগজে সই করলে মৃতদের পরিবার তার দেহ ময়না তদন্তের অনুমতি দিচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়, তাকেই পাঁচনামা বলা হয়। মর্গে গিয়ে ওই ব্যক্তির শ্যালিকা দেখতে পান, তাঁর জামাইবাবুর দেহ নড়াচড়া করছে। চিৎকার চেঁচামেচি লেগে যায় মর্গে। সঙ্গে দেখা যায় তিনি শ্বাস নিচ্ছেন।

এই ঘটনার পর মোরাদাবাদের চিফ মেডিকেল সুপারেনটেনডেন্ট শিব সিং জানান, রাত তিনটে নাগাদ যখন শ্রীকেশ হাসপাতালে আসেন সেই সময়ে বারংবার তাকে পরীক্ষা করা হয়। একাধিকবার পরীক্ষা করার পরে নিশ্চিত করা হয় যে তিনি মৃত। পরের দিন মর্গে তার বাড়ির আত্মীয়-স্বজন দেখতে পান তিনি জীবিত। এই ধরনের সমস্যা কার্যত প্রথমবার দেখতে হচ্ছে এই হাসপাতালের কর্মচারীদের। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলেই সাময়িক সময়ের জন্য শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই সময় তাকে দেখলে মৃত বলেই মনে হতে পারে। অন্য সময় তার মধ্যে আবার প্রাণ ফিরে আসে, এই ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে। এক কথায় বিরল ঘটনা বলে আখ্যা করেন শিব সিং।

বাকিদের সঙ্গে ওই শ্যালিকা মর্গে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে মৃতদেহের সামনে তিনি, জিজাজি বলে ডেকে ওঠায় সাড়া পান। এরপরই তিনি চিৎকার করে সকলকে ডাকেন ওই ঘরে। বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানোর জন্য ফ্রিজার বন্ধ রাখা হয়েছিল। নাহলে মাইনাস ১০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় কিছুতেই বাচঁতেন না শ্রীকেশ। এই বিরল ঘটনা দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে সকলের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *