আজ খবর ডেস্ক- এলন মাস্ক এর সংস্থা স্টারলিংক আগেই ঘোষণা করেছিল ২০২২ এর ডিসেম্বর মাস থেকে তারা ভারতের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা আনবে বাজারে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় এখনও পর্যন্ত স্টারলিংক সংস্থা ওই ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোনও লাইসেন্স পায়নি, তাই আগেভাগেই এমন ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া একেবারেই অবৈধ।
কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকম বিভাগ থেকে বারবার ওই সংস্থাকে জানানো হয়েছে, তারা যেন নির্দিষ্ট সমস্ত ছাড়পত্র নিয়ে এবং যাবতীয় নিয়ম মেনে তাদের বিজ্ঞাপন দেয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে কোনও ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন না।
সরকারের তরফে জনসাধারণকে সতর্কও করা হয়েছে যে স্টারলিংক সংস্থা স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের জন্য কোনও লাইসেন্স বা অনুমোদন গ্রহণ করেনি। তাই জনগণ যেন তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া কোন রকম বিজ্ঞাপনের ফাঁদে না পরে। সরকার ওই সংস্থাকে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক যোগাযোগ পরিষেবা প্রদানের জন্য ভারতীয় নিয়ম এবং কাঠামো মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশপাশি, অবিলম্বে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা বুকিং করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে বলে টেলিকম বিভাগ সূত্রে খবর।
এর আগে, সংস্থার ভারতীয় ডিরেক্টর, সঞ্জয় ভার্গব ঘোষণা করেছিলেন, যে স্টারলিংকের মূল সংস্থা, স্পেসএক্স, এখন ভারতে ১০০ শতাংশ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা হয়েছে এবং এর জন্যে লাইসেন্সের আবেদন করা হবে। ভারতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে তারা। তিনি আরও জানান, যে সংস্থাটি ইতিমধ্যে ভারতে পাঁচ হাজারটি প্রি-অর্ডার পর্যন্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় কারণ এই সংস্থা ভারতে অপারেশন চালানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে লাইসেন্স চায়নি এখনও।
ভার্গব বলেন, স্টারলিংক গ্রামীণ এলাকা জুড়ে কাজ করবে, যারা ১০০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পেতে আগ্রহী। কোম্পানী টেরিস্ট্রিয়াল ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করার ভাবনা চিন্তা করছে। তবে যে এলাকায় পৌঁছানো কঠিন সেই অঞ্চলে স্টারলিংকের মতো স্যাটকম পদ্ধতিতে ইন্টারনেট পরিচালনা করা হবে বলে জানা যায়।