আজ খবর ডেস্ক- আশা ছিল দিদির পাড়াতে তিনি হয়তো টিকিট পাবেন। কিন্তু তা আর হল না। বাধ্য হয়েই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দু’বারের কাউন্সিলর রতন মালাকার নির্দল হয়ে দাঁড়ালেন পুর নির্বাচনে। উল্টোদিকে, তৃণমূলপ্রার্থী, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে রতন মালাকারের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ নেই কারুর বিরুদ্ধে, কিছু বলতে চান না তিনি।
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের বউ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই এলাকায় টিকিট দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার। রতনকে এবার টিকিট দেয়নি দল। কিন্তু তিনি বুধবার অর্থাৎ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, একেবারে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন নির্বাচনে।
রতন অভিযোগ করেছেন, তাঁর উপর চাপ তৈরি হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। হরিশ মুখার্জি রোডে যে পার্টি অফিস থেকে তিনি তাঁর ওয়ার্ড পরিচালনা করতেন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এলাকার মানুষের দাবি মেনেই তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি নন তিনি। শেষ পর্যন্ত যদি রতন মনোনয়ন না তোলেন তাহলে দিদির পাড়াতেই তৃণমূল বনাম বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের লড়াই হতে চলেছে।
আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রতন মালাকারকে নিজের ওয়ার্ড দেখতে বলেছিলেন। ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তাঁর উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু হঠাৎ করে কি হল তা কেউই বুঝে উঠতে পারছে না সহজে। উপনির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্যে যে পরিমাণ ভোট এসেছিল সেই সময় রতন মালাকারের ওয়ার্ডে ব্যাপক মাত্রায় লিড পেয়েছিলেন নেত্রী।২০০০ সালে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম বার তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়ান তিনি। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতার ইচ্ছাতেই তৃণমূলকর্মী রতনকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেন নেতারা। পরে ২০০৫ সালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরিয়ে আনা হয় তাঁকে। ২০০৫, ২০১০ ও ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর হন তিনি।
অন্যদিকে, ১০৩ নম্বরে সুকুমার দাসকে প্রার্থী করায় বড় অংশের কর্মীরা মানতে পারেনি। রাস্তা অবরোধ করে নেত্রীর কাছে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল। দাবি, প্রার্থীর বদল চাই।