আজ খবর ডেস্ক : পাকিস্তানের পর এবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেও হতাশজনক ভরাডুবি ভারতের। ২০ ওভারে মেরেকেটে উঠলো ১১০ রান। তিনটি উইকেট বোল্টের ঝুলিতে যায়। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে পরাজয় ঘটে টিম ইন্ডিয়ার। গ্রুপের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেরে শেষ চারে পৌঁছনোর রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার।
গতকালের ম্যাচে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে দেখা যায় বিরাটকে, সূর্যকুমারকে বসিয়ে ঈশান কিষানকে দলে নেন , শার্দূল ঠাকুরকে সুযোগ দেওয়া হয় ভুবনেশ্বরের জায়গায়। তবুও টস হেরে অশ্বিনকে নেওয়া বা হার্দিককে বসানোর পথে হাঁটেননি কোহলি। রোহিতকে পাঠান তিন নম্বরে। আর নিজে নেমেছিলেন চার নম্বরে। কিন্তু এত পরীক্ষা নিরীক্ষার পরও শেষ রক্ষা হল না। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হয়ে কার্যত সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হল ভারতের।
এর আগে ২০১৬ বিশ্বকাপে নাগপুর ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে ১২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ধোনির টিম ইন্ডিয়া। সেই স্মৃতি আরও একবার ভেসে উঠলো গতকালের ম্যাচে। তাছাড়া গত ১৮ বছরের কোনও আইসিসি (ICC) টুর্নামেন্টে ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। গতকালের খেলার পরও সেই ধারাই বজায় রইল।হারের কারণ প্রসঙ্গে ম্যাচের পর কোহলী জানান, শরীরীভাষাই নিউজিল্যান্ডের থেকে আলাদা করে দিয়েছে তাঁদের। মাঠে নামার আগেই যে তাঁরা কিছুটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন সেটাও স্বীকার করে নেন কোহলী। বলেন, “অদ্ভুত লাগছে। ব্যাট বা বল কোনওটাতেই আমরা সাহসী ছিলাম না। মাঠের নামার পর থেকেই আমাদের মধ্যে সাহসের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড সে ব্যাপারে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। আমরা যেন শুরু থেকেই চাপে ছিলাম। ব্যাটিংয়ের সময় কেমন যেন দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম।”
প্রত্যাশার চাপেই কি এমন ফল হল? উত্তরে কোহলীর বক্তব্য, “ভারতের হয়ে খেলতে নামলে প্রত্যাশা থাকবেই। সমর্থকদের থেকে নয়, বাকি খেলোয়াড়দের থেকেও প্রত্যাশা থাকে। তাই যে ম্যাচেই আমরা নামি না কেন, এই চাপটা সামলাতেই হবে। ভারতের হয়ে খেলতে গেলে এই চাপের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হলে এই চাপ কাটিয়ে ওঠা যায়, যেটা আমরা গত দু’ম্যাচে করতে পারিনি। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামছ আর প্রত্যাশার চাপ থাকবে এটা ভেবে অন্য রকম ভাবে খেলতে শুরু করলে চলবে না।”
অন্যদিকে,গতকালের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে কেন উইলিয়ামসন বলেন, “প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলার ইচ্ছে যেমন থাকে, তেমনই বিপক্ষকে একটা জোরদার টক্কর দেওয়ারও একটা লক্ষ্য থাকে দলের। প্রাথমিক পর্বে আমাদের কাছে খেলাটা খুব সুবিধের ছিলনা। কারণ বিপক্ষের ওপেনার মাঠে নেমেই যেভাবে খেলা শুরু করছিল তাতে বড়ো রানের দিকেই এগোতে চাইছিল তারা। কিন্তু দল সেই চাপে ঘাবড়ে না গিয়ে, মাঠের সেই চাপের সঙ্গে জুজে নিয়ে খেলা এগিয়ে যায়। স্পিনাররা যেভাবে পারফর্ম করেছে তা অনবদ্য। এটি একটি কমপ্লিট টিম পারফরমেন্স ছিল।”
তবে দু’টি ম্যাচ হেরেও দমতে রাজি নন কোহলী। বলেছেন, “মনে হয় এখনও সব ঠিকই আছে। এখনও অনেক ক্রিকেট খেলা বাকি রয়েছে।”