আজ খবর ডেস্ক:
DA News রাজ্যে ডিএ (DA Protest) জট অব্যাহত। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বড় অংশ। গত ১০ই মার্চ যৌথমঞ্চের ডাকা ধর্মঘট একাধিক সরকারি দপ্তরকে কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছিল। DA News
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি এপ্রিলে।
এই আবহে রবিবার জরুরি বৈঠকে বসছেন আন্দোলনকারীরা। শহিদ মিনারের অবস্থান ও অনশন শনিবার ৫৮ দিনে পড়লো। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে দিয়েছে। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ফারাক বেড়ে হয়েছে ৩৬ শতাংশ।
পরবর্তী আন্দোলনের দিশা ঠিক করতে রবিবার জরুরি বৈঠকে বসছে ৪২টি কর্মচারী সংগঠন।
রবিবার বিকালে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির দপ্তর, কর্মচারী ভবনে এই বৈঠক হবে। রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঙ্কেত চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামীকালই এই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।
এদিকে হুগলিতে ঘটে গিয়েছে এক আজব কান্ড। শিক্ষকতার চাকরি থেকে ৭ বছর আগে অবসর নেওয়া কিশোর চট্টোপাধ্যায় ১০ই মার্চ ধর্মঘটের দিন কেন স্কুলে অনুপস্থিত, সেই কারণ দর্শানোর নোটিশ (Show Cause Letter) দেওয়া হয়েছে। মগড়ার আদি সপ্তগ্রাম হাইস্কুল থেকে ২০১৬ সালে অবসর নিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। শুক্রবার স্কুলের সহকর্মীরা তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁর নামেও এসেছে শোকজের চিঠি।
প্রসঙ্গত বিধানসভার বাজেট বক্তৃতায় মমতা বলেছিলেন, “আমার মুন্ডুটা কেটে নিন। এর থেকে বেশি পারব না।” রাজ্য সরকারের আরও বক্তব্য, কেন্দ্র ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। তারমধ্যেই রাজ্য সরকারকে পরিকাঠামো উন্নয়ন, মেরামতি, সামাজিক প্রকল্প চালাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মহার্ঘভাতা দেওয়া কার্যত অসম্ভব।