আজ খবর ডেস্ক:
অ্যাডেনো ভাইরাসের (Adenovirus) পর এবার জন্ডিস (Jaundice)।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি সূত্র বলছে, হুগলির বালি পুরসভার ৯ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ডিসে আক্রান্ত বহু মানুষ।

জানা গিয়েছে, অন্তত ৭৫ জন এই মুহূর্তে ডন্ডিসে আক্রান্ত। রয়েছে শিশুরাও। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের (PHE) সন্দেহ, জল ও দূষিত খাবার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
অন্যান্য ওয়ার্ডেও জন্ডিসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

চিকিৎসকদের মতে, রক্তে বিলিরুবিন (Bilirubin) বেড়ে গেলে জন্ডিস হয়। বিলিরুবিন শরীরের স্বাভাবিক রক্তচলাচলে বাধা দেয়। এই অসুখের নাম হেপাটাইটিস। ভাইরাস সরাসরি লিভারকে আক্রমণ করে।
অনেক ক্ষেত্রেই জন্ডিসের প্রাথমিক উপসর্গ ধরা যায় না। পরে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। ফলে প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে,
১) প্রস্রাবের (Urine) রঙ হলুদ কীনা। প্রয়োজনে রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।

২) জন্ডিস বাড়তে থাকলে চোখ ও ত্বকের রঙও হলুদ হতে থাকে।
৩) মল ও মূত্রের রঙে বদল হতে থাকে।
৪) বমি, খিদে কম, মুখে স্বাদ না থাকা, খাবারে অরুচি হতে পারে।
৪) ক্রমাগত হজমের গোলমাল, ওজন কমতে থাকলে সাবধান হতে হবে।

কীভাবে সাবধান থাকবেন?
১) জল ফুটিয়ে বা পরিশুদ্ধ করে পান করতে হবে।
২) রাস্তার খাবার একেবারেই বন্ধ করতে হবে। জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড মাংস, কোল্ড ড্রিঙ্কস-চিপস-আইসক্রিম খাওয়া চলবে না।
৩) রাস্তার কাটা ফল, ঘোল, শরবত একেবারেই নয়।

৪) পেঁপে, সবুজ শাকসব্জি, ফল (ফলের রস নয়) থাক নিয়মিত খাদ্যতালিকায়।
৫) জন্ডিস হয়েছে এমন রোগীর রক্ত থেকেও শরীরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
৬) মশাবাহিত রোগ থেকে সাবধান হতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *