আজ খবর ডেস্ক:
Rahul Gandhi আপাত স্বস্তি। মোদি পদবী সংক্রান্ত ফৌজদারি মানহানি মামলায় (Criminal Defamation) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) শুনানি ছিল আজ।
আদালতের নির্দেশে জামিনের মেয়াদ বাড়ল। ২০১৯ সালের এক মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় কংগ্রেস নেতাকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরমিনানার নির্দেশ দিয়েছিল সুরাট কোর্ট। সেই মামলায় প্রাথমিকভাবে ১ মাসের জামিন পেয়েছিলেন রাহুল।
সোমবার সেই মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ল। মামলায় পরবর্তী শুনানি ১৩ই এপ্রিল। Rahul Gandhi

সোমবার রাহুলের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
সুরাট আদালত এদিন শুনানি শেষে রাহুলের জামিনের মেয়াদ ১৩ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল। ফলে এখনই কংগ্রেস নেতাকে জেলে যেতে হবে না। এদিকে, রাহুলের সাজা শোনানোর পরই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে বাংলো ছাড়ার নোটিসও ধরিয়েছিল লোকসভার সচিবালয়। চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের বাংলো ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুলও।

এদিন শুনানির সময় মামলাকারী পূর্ণেশ মোদির আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বিচারক আজ ওই মামলার শুনানি করতে চাননি। তিনি পূর্ণেশ মোদিকে নির্দেশ দেন, ১০ই এপ্রিলের মধ্যে আদালতকে লিখিতভাবে রাহুলের আর্জি সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে হবে। সেদিন রাহুলকে আর উপস্থিত থাকতে হবে না।


সোমবার কোর্টের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর সংখ্যায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। দুপুর নাগাদ আদালতে আসেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেসের দুই মুখ্যমন্ত্রী, রাজস্থানের অশোক গেহলট ও হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখ্যু, দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল প্রমুখ।

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, বিচারকের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই রাহুল প্রথমসারির নেতাদের নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন রাহুল। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধীর আদালতে সশরীরে উপস্থিত থাকারও দরকার ছিল না। তিনি আসলে চাপ তৈরির জন্য দলবল নিয়ে হাজির হয়েছেন।
তবে এখনই রাহুলের কারাদণ্ডের নির্দেশ মকুব হলো না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *