আজ খবর ডেস্ক:
Saktigarh Shootout গত শনিবার শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে গাড়ির ভিতরে খুন হন রাজু ঝা (Raju Jha)। বেআইনি কয়লা ব্যবসার (Coal Smuggling) অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে সাদা ফরচুনা (WB 48D 7032) গাড়িতে চালকের পাশে রাজু বসেছিলেন, তা আদতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ‘ফেরার’ আব্দুল লতিফ ওরফে হিঙ্গুর শেখের। পুলিশ এই মামলার ‘মিসিং লিঙ্কে’র খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।ঘটনার পর থেকেই উধাও হয়ে যান লতিফ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে সিট (SIT) গঠন করেছে রাজ্য সরকার৷ Saktigarh Shootout

পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় রাজুকে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমকে লিখিত বয়ান (appalling words) দিলেন ওই গাড়ির চালক নূর হুসেন।

তিনি জানিয়েছেন, ১লা এপ্রিল সকাল ৮ টায় ইলামবাজারে আব্দুল লতিফের বাড়িতে যান তিনি। দুপুর ১টা নাগাদ আবদুল লতিফকে নিয়ে গাড়ি রওনা দেয় দুর্গাপুরের দিকে। ফিরিঙ্গি মোড় থেকে ওই গাড়ির পিছনের সিটে ওঠেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। বিকেল ৫টা নাগাদ সিটি সেন্টারে ফরচুন হোটেলে পৌঁছয় গাড়ি।
নূর তাঁর বয়ানে লিখেছেন, ওই হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজু। তারপর লতিফ, ব্রতীন এবং রাজু ঢুকে যান হোটেলে।

রাজু ঝা এবং আব্দুল লতিফ

সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ দুর্গাপুর থেকে গাড়ি রওনা দেয়। সামনের সিটে চালকের পাশের আসনে ছিলেন রাজু। শক্তিগড়ে ব্রতীন তাঁকে গুটখা কিনতে দাঁড়াতে বলেন। গাড়ি থেকে প্রথমে নামেন নূর। পরে নেমে পড়েন ব্রতীন এবং লতিফও। সেই সময়েই গাড়িতে বসে থাকা রাজুকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা।
রবিবার একটি ভিডিও সামনে আসার পরেই স্পষ্ট হয়েছিল আবদুল লতিফ ওই গাড়িতে ছিলেন।
গাড়ির চালকের বয়ানের পর অনেকগুলি প্রশ্ন উঠছে। কেন গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন ব্রতীন এবং আবদুল লতিফ? তারপর কোথায় গেলেন তাঁরা? তাহলে কি সবটাই প্ল্যান মাফিক?

সামনে এসেছে আরেকটি নতুন তথ্য। জানা গেছে, যে গাড়ি থেকে রাজুকে গুলি করা হয়েছিল, সেই নীল গাড়িটি কলকাতার এক মহিলার নামে রয়েছে। গাড়ির নথি খতিয়ে জানা গেছে, কলকাতার পাটুলির বাসিন্দা শাশ্বতী চক্রবর্তীর নামে রয়েছে ওই গাড়ি। শাশ্বতীর ছেলে সোহম চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন, গাড়িটি তাঁর মায়ের। তবে গত বছর সেপ্টেম্বরে একটি সংস্থাকে তাঁরা গাড়ি বিক্রি করেছিলেন। সেই গাড়ি বিক্রির কাগজপত্রও পুলিশকে দেখিয়েছেন তাঁরা। তবে এখনও গাড়ির মালিকানা বদল হয়নি বলে তাঁর মায়ের নামটিই থেকে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *