আজ খবর ডেস্ক:
Gamma ray burst এমন ঝড় খালি চোখে দেখা যাবে না। অথচ নাসা’র (NASA) টেলিস্কোপে সেই অভাবনীয় দৃশ্য কার্যত চোখ কপালে তুলে দিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের।
গত দশ হাজার বছরের মধ্যে উজ্জ্বলতম গামা রশ্মির বিস্ফোরণ (Gamma Ray Burst) ছিল এটি।


২০২২ এর ৯ই অক্টোবর এই বিস্ফোরণ হলেও এতদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এর আগে ২০১৫ সালে দুটি ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষে জোরালো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল। উৎস্থল ছিল পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। ২০১৭-তে ১৮০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ দেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে মহাজাগতিক সেই মহাপ্রলয়।


বিস্তর পরীক্ষার পর বিজ্ঞানীদের অনুমান, এ ক্ষেত্রে এমন একটি তারার বিস্ফোরণ ঘটেছে যা সূর্যের থেকে প্রায় ৩০ গুণ বেশি ভর বিশিষ্ট ছিল।

পৃথিবী যদি এই বিস্ফোরণের মুখে পড়ত, নিমেষে অদৃশ্য হয়ে যেত তার বায়ুমণ্ডল। ঝলসে যেত সবকিছু।
মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল সাধারণত কোনও গ্যালাক্সির মাঝখানে, অথবা গ্যালাক্সির চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। কোনও গ্যালাক্সির মাঝে থাকা ব্ল্যাক হোলের অভিকর্ষ টান খুব বেশি হয়।

ঘন জমাট বাঁধা গ্যাসের মেঘ বা তারা কাছে এসে পড়লে ওই ব্ল্যাক হোলগুলি সেগুলিকে গিলে নেয়। সেগুলি আর ব্ল্যাক হোল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। ভিতর থেকে উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায় যা আসলে প্রচণ্ড শক্তিশালী এক্স-রে বা গামা-রশ্মির স্রোত।

আদতে এই ঝড়টি হয়েছিল প্রায় ২০০কোটি বছর আগে। নাসার টেলিস্কোপে তা ধরা পড়েছে ২০২২ সালে। Fermi Space Telescope এই বিরল দৃশ্য লেন্সবন্দি করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *